কাশ্মীরের পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার উপত্যকায় পা রাখছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। তার চব্বিশ ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ সোমবার সোপোরে গ্রেনেড হামলা চালাল জঙ্গিরা। বিস্ফোরণে ১৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা জখম হয়েছেন।
কাশ্মীর প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোপোরের একটি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সে সময় গ্রেনেড ছুড়ে পালায় জঙ্গিরা। বিস্ফোরণের জেরে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জখম হন। প্রথমে আহতের সংখ্যা কম মনে করা হলেও পরে তা বেড়ে যায়। বিস্ফোরণের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পর দেখা যায়, ১৫ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের আঘাত গুরুতর। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
#Terrorists lobbed a #grenade on #civilians at #BusStand #Sopore. 6 #civilians sustained #injuries. Information is preliminary in nature. @JmuKmrPolice
— Kashmir Zone Police (@KashmirPolice) October 28, 2019
দিন দু’য়েক আগে, গত ২৬ অক্টোবর শ্রীনগরের করননগর এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের উপর গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। তাতে ছ’জন নিরাপত্তারক্ষী জখম হন। সেই একই কায়দায় এ দিন বারামুলা জেলার সোপোরে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: এক ঘণ্টার অপারেশন বাগদাদি শেষ সুড়ঙ্গের প্রান্তে, কীভাবে চলল মার্কিন সেনার অভিযান
আরও পড়ুন: ‘বাগদাদি ধর্মগুরু’, শিরোনাম লিখে বেকায়দায় ওয়াশিংটন পোস্ট, সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ-রসিকতার ঢেউ
আরও পড়ুন: কী পরিস্থিতি কাশ্মীরের, খতিয়ে দেখতে যাচ্ছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর প্রায় তিন মাস কেটে গিয়েছে। সে সময় যে সব নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল তা বেশ কিছুদিন ধরেই শিথিল করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে সরকার। এর মাঝেই নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে জঙ্গিরাও। কাশ্মীরের সোপোরে জঙ্গি নাশকতার ইতিহাসও বেশ লম্বা। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত জঙ্গি নাশকতার জেরে ১৪ হাজার ২৪ জন সাধারণ মানুষ এবং পাঁচ হাজার ২৭৩ জন নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।