এই জায়গা থেকেই মাটির নীচ থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রেমিকাকে হেনস্থার অভিযোগে অফিসের ঊর্ধ্বতনকে খুন করে তাঁর দেহ নিজের বাড়িতেই লুকিয়ে রাখলেন এক সরকারি কেরানি। অভিযুক্তের নাম আনিস। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি দিল্লির আরকে পুরম এলাকার।
দিল্লির সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ডিফেন্সে কেরানির কাজ করেন আনিস। সেখানেই একটি কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি। গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের কাছে আনিস দাবি করেছেন যে, তাঁর প্রেমিকাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন তাঁর ঊর্ধ্বতন আধিকারিক মহেশ কুমার। শুধু তাই-ই নয়, তাঁর কাছ থেকে ন’লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন মহেশ। সেই টাকা ফেরতও দিচ্ছিলেন না।
প্রেমিকাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় মহেশকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন আনিস। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ২৮ অগস্ট কাজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন আনিস। তার পর লাজপত নগরের বাজার থেকে ৬ ফুটের একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ কিনে নিয়ে আসেন। একটি কোদালও কেনেন। তার পর ওই দিন বিকেলের দিকে মহেশকে আরকে পুরম সেক্টর ২-এ নিজের বাড়িতে ডাকেন আনিস। আগে থেকেই সব কিছু প্রস্তুত রেখেছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় আনিস স্বীকার করেছেন যে, মহেশ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলে লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর ঊর্ধ্বতনের। তার পর সেই দেহ ঘরে রেখে নিজের গ্রামের বাড়ি হরিয়ানার সোনিপতে পালিয়ে যান আনিস। পর দিন অর্থাৎ ২৯ অগস্ট আবার দিল্লিতে ফিরে আসেন তিনি। তার পর বাড়ির উঠোনে গর্ত খুঁড়ে মহেশের দেহ পুঁতে দেন। কারও যাতে সন্দেহ না হয়, সেই জায়গা সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়েও দিয়েছিলেন। ২৯ অগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন মহেশ। অফিসে না আসায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ আনিসকে জিজ্ঞসাবাদ করে। তখন তাঁর কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে বলে জানান তদন্তকারী আধিকারিক। তার পরই তাঁকে তেপে ধরতেই মহেশকে খুনের কথা স্বীকার করেন। গত ২ সেপ্টেম্বর আনিসের বাড়ির উঠোন থেকে মহেশের দেহ উদ্ধার হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy