প্রতীকী ছবি।
রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম প্রতি মাসে ৪ টাকা করে বাড়িয়ে ২০১৮-র মার্চের মধ্যেই ভর্তুকি পুরো তুলে দেওয়ার লক্ষ্যের কথা কেন্দ্র আগেই ঘোষণা করেছিল। এ বার তারা জানিয়ে দিল, আগামী বছর এপ্রিলের আগেই রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে দিতে চায় সরকার। কেরোসিনের ক্ষেত্রেও সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভর্তুকি পৌঁছে দিয়ে বা যত বেশি সম্ভব রাজ্যকে কেরোসিন মুক্ত করে দিয়ে ভর্তুকি ছাঁটতে চায় সরকার।
এর পাশাপাশি প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ বাড়ানোরও পরিকল্পনা নিচ্ছে কেন্দ্র। চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে চলতি উত্তেজনার আবহে এই বিপুল বরাদ্দ বৃদ্ধি তাৎপর্যপূর্ণ। চলতি বছরে পেট্রোলিয়াম ভর্তুকির জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন অরুণ জেটলি। আজ সংসদে ২০১৯-’২০ পর্যন্ত খরচের নির্দেশিকা পেশ করে অর্থ মন্ত্রকের যুক্তি, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাজার ঠিক করছে। রান্নার গ্যাসের ভর্তুকিও এপ্রিলের আগেই পুরো তুলে দিতে চায় সরকার। গত বছর অগস্ট থেকেই কেরোসিনের দাম মাসে ২৫ পয়সা করে বাড়ছে। এ বার কেরোসিনের ভর্তুকি সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিয়ে বা কিছু রাজ্যকে কেরোসিন মুক্ত করে ভর্তুকি ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে পেট্রোপণ্যে ভর্তুকির বহর ২০১৯-’২০ নাগাদ ১০ হাজার কোটি টাকায় নেমে আসবে।
সারের ক্ষেত্রে ভর্তুকি সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিলেও এখনই সেই ভর্তুকির বহরে ছাঁটাইয়ের কোনও সিদ্ধান্তের কথা এখনও ঘোষণা করেনি মোদী সরকার। সারে ভর্তুকির পরিমাণ এ বছরের মতোই আগামী দু’বছর ৭০ হাজার কোটি টাকা থাকবে। ওই সময় নাগাদ খাদ্যে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে হবে ২ লক্ষ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: কেন্দ্র চায় মার্চেই শেষ গ্যাস-ভর্তুকি
মোদী সরকারের পরিকল্পনা, স্থায়ী সম্পদ বা পরিকাঠামো তৈরিতে দু’বছরের মধ্যে ২৫ শতাংশ খরচ বাড়ানো হবে। ২০১৯-’২০-তে সরকারের মোট ব্যয় ২৬ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছবে। এ বছর যার পরিমাণ ২১.৪৬ লক্ষ কোটি টাকা। এর বেশির ভাগ বৃদ্ধিই হবে প্রতিরক্ষা খাতে। প্রায় ২২ শতাংশ। এ বছর প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২ লক্ষ ৯ হাজার কোটি টাকা। দু’বছরেই তা বেড়ে হবে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা থেকে স্পষ্ট, যুদ্ধাস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম, সীমান্তে পরিকাঠামো তৈরিতে বিপুল খরচ করতে চলেছে মোদী সরকার।
রান্নার গ্যাস এবং কেরোসিনে ভর্তুকি ছাঁটাইয়ের তীব্র বিরোধিতা করে বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার যুদ্ধ আর ধর্মের জিগির তুলে আমজনতার প্রাপ্য কেড়ে নিচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রকের ‘মিডিয়াম-টার্ম এক্সপেন্ডিচার ফ্রেমওয়ার্ক’ অনুযায়ী, জিএসটি চালু এবং নোট-বাতিলের পরে কর ফাঁকিতে নজরদারি বেড়েছে। ফলে দেশের জিডিপি-র তুলনায় কর আদায়ের অনুপাতও বাড়বে। রাজকোষ ঘাটতির ক্ষেত্রে অবশ্য বিরাট কোনও উন্নতির আশা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy