—প্রতীকী ছবি।
১৭ বছরের ধর্ষিতা আদালতে গর্ভপাতের আর্জি জানিয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি তাঁকে মনুস্মৃতি পড়ার পরামর্শ দিলেন!
ধর্ষণের মামলায় নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনার প্রায় সাত মাস পরে ওই নাবালিকার পরিবার জানতে পারে, সে অন্তঃসত্ত্বা। সাবালিকা নন, এই যুক্তি দিয়ে বৈধ উপায়ে গর্ভপাতের অনুমতি চাইতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই নাবালিকার বাবা। সেই মামলারই শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার।
শুনানিতে নাবালিকার আইনজীবী আদালতে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। তিনি এ-ও জানান যে, মেয়েটি নাবালিকা, তাই সে আইনত সন্তানধারণে সক্ষম নয়। তার পরই মনুস্মৃতির উল্লেখ করে গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি সমীর জে দাভে তাঁর মৌখিক পর্যবেক্ষণে বলেন, “আগেকার দিনে ১৪-১৫ বছর বয়সে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যেত। ১৭ বছর বয়সের আগেই তারা মা হয়ে যেত। আপনারা এক বার মনুস্মৃতি পড়ে নিন।” একই সঙ্গে আদালত জানায়, যদি নাবালিকার ভ্রুণ সঠিক অবস্থায় থাকে এবং সে যদি শারীরিক ভাবে ঠিক থাকে, তবে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে না। মেয়েটির শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখার জন্য রাজকোট হাসপাতালের প্রধানকে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। ওই বোর্ডের চিকিৎসকদের পরামর্শেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ জুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy