—প্রতীকী চিত্র।
ছাত্রীদের হস্টেলে মাঝরাতে ঢুকে পড়ল এক দল যুবক! ঘটনার জেরে ভয় পেয়ে বাড়ির পথ ধরতে হল সেই হস্টেলের বাসিন্দা ১৮৭ জন ছাত্রীর মধ্যে ১৭২ জনকে! উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার ‘মায়াবতী গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক সেন্টার’-এ এমনই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি সংবাদমাধ্যমের একাংশের।
ছাত্রীরা জানিয়েছেন, রবিবার মাঝরাতে তাঁদের হস্টেলের জানালা দিয়ে উঁকি মারতে শুরু করে ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সি এক দল ব্যক্তি। ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু কেউ সাহায্য করতে আসেননি। ভয়ে শৌচাগারেও যেতে পারছিলেন না তাঁরা। ফলে ১৭২ জন ছাত্রী আজ বাড়ি চলে যান। বাকিরা একটি ঘরেই থাকছেন। ভয়ে রাতে ঘুমোতে পারছেন না তাঁরা।
হস্টেলের এক আধিকারিকের দাবি, চারটি হস্টেল রয়েছে ওই কলেজের ক্যাম্পাসে। কিন্তু কখনওই হস্টেল ওয়ার্ডেনের পদ ছিল না। কলেজ শিক্ষকদের আবার দাবি, তাঁদেরই ওয়ার্ডেনের কাজ করতে বলা হত। কিন্তু বাড়তি বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় তাঁরা কেউই রাজি হননি।
বেহাল দশার কথা স্বীকার করে কলেজ প্রিন্সিপাল শ্যামনারায়ণ সিংহের বক্তব্য, ‘‘২০০২ সালে কলেজ তৈরির সময় থেকে কেবল চার জন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন সকালে কাজ করেন। রাতে থাকেন দু’জন। এক জন ছুটিতে গেলেই সমস্যা আরও বাড়ে।’’
ঘটনার জেরে গত কাল বিক্ষোভ দেখান ছাত্রীদের একাংশ। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছে। বাড়ানো হয়েছে রাতে টহলদারি। তবে এখনও কোনও মামলা করা হয়নি। হস্টেলগুলি ঘুরে দেখেছেন জেলাশাসক মণীশকুমার বর্মা। পরে ওই ক্যাম্পাসের অবস্থা নিয়ে রিপোর্ট দিতে জেলা স্কুল পরিদর্শক ও অন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি। কলেজ সূত্রে খবর, ক্যাম্পাসে ১২ জন রক্ষী ও ১৬টি সিসি ক্যামেরা প্রয়োজন। ওয়ার্ডেন হিসেবে কেউ কাজ করলে প্রয়োজন তাঁদের থাকার জায়গাও।
ছাত্রীদের দাবি, আগেও হস্টেলে ঢুকে পড়েছে অনেকে। ছাত্রীদের ঘরের বন্ধ দরজায় টোকাও মেরেছে তারা। কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নির্যাতিতার ঘটনা নিয়ে যখন গোটা দেশ উত্তাল তখনই এই ঘটনায় ফের সামনে এসেছে নারী সুরক্ষায় অবহেলার দিকটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy