প্রতীকী ছবি।
স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করতে ভাল লাগে না। স্কুলে যাওয়া থেকে মুক্তি পেতে তাই স্কুলেরই অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে গলা টিপে খুন করল দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। গাজিয়াবাদের মাসুরি থানার অন্তর্গত নানকাগড়ি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সূত্রের খবর, ঘটনার পর গার্ডেন এনক্লেভ পুলিশ থানায় গিয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে ওই পড়ুয়া। তাকে যেন পুলিশ গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়, তার জন্য থানার আধিকারিকদের কাকুতি মিনতি করতে থাকে অভিযুক্ত কিশোর।
পুলিশ প্রথমে ওই ছাত্রের কথা বিশ্বাস না করলেও পরে তার বলা জায়গায় গিয়ে নীরজ কুমার (১৩)-এর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে অভিযুক্ত পড়ুয়া জানায়, তার এবং নীরজের বাড়ি এক পাড়ায়। দু’জনে একসঙ্গে খেলাধুলোও করত। অভিযুক্ত পড়ুয়া পড়াশোনায় দুর্বল ছিল। এর জন্য পরিবারের লোকজন তাকে ভাল করে পড়াশোনা করার জন্য চাপ দিত এবং বকাঝকা করত। সে শুনেছিল জেলে থাকলে পড়াশোনা করতে হয় না। আর তাই সে এর পর থেকেই জেলে যাওয়ার উপায় ভাবতে থাকে।
সে পুলিশকে আরও জানায়, জেলে যেতেই সে নীরজকে হত্যার ছক কষেছিল। খেলার অজুহাতে সে প্রতি দিন সন্ধ্যায় নীরজকে নিয়ে বেরোত। তার লক্ষ্য ছিল দিল্লি-মেরঠ এক্সপ্রেসওয়ের ফ্লাইওভারের নীচে নীরজকে খুন করা। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ সে নীরজকে নিয়ে ওই জায়গায় যায় এবং বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ নীরজের শ্বাসরোধ করে কাচের বোতল দিয়ে গলা কেটে দেয়। নীরজের মৃত্যু হয়েছে নিশ্চিত হওয়ার পরই সে থানায় যায়। অভিযুক্তকে শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy