দত্তাত্রেয় হোসাবলে
পাঁচ রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা ভোটের মুখে বড়সড় রদবদল ঘটল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শীর্ষ স্তরে। শারীরিক কারণে প্রায় ১২ বছর বাদে সর-কার্যবাহ বা সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে গেলেন সুরেশ ভাইয়াজি জোশী। তাঁর জায়গায় এলেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে। সঙ্ঘ ও বিজেপি শিবিরে নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ তথা কট্টর ভাবধারার জন্য পরিচিত হোসাবলে উঠে এলেন সঙ্ঘের দু’নম্বর পদে।
বিরোধীদের অভিযোগ, বর্তমান শিক্ষা নীতিতে যে গৈরিকিকরণের প্রভাব পড়েছে, তার পিছনে হোসাবলের প্রভাব অনেকটাই। বিশেষ করে ভারতের ইতিহাস পরিবর্তনের যে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা সরকার করে চলেছে, বিরোধীদের মতে তাঁর মূল মস্তিষ্ক হলেন কর্নাটকের সিমোগা জেলার ওই স্বয়ংসেবক।
এই কট্টরপন্থী সঙ্ঘ নেতা ভারতের হিন্দু ইতিহাসের পুনর্জাগরণের পাশাপাশি অনুপ্রবেশ প্রশ্নেও গোড়া থেকেই সরব। মোদী সরকার দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে দেশের সব নাগরিকের জন্য জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে। মোদী সরকারের ওই সিদ্ধান্তের পিছনে এই নেতাটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হয়। নীতিগত ভাবে ধর্ম পরিবর্তনেরও বিরুদ্ধে তিনি। পাশাপাশি ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’রও
তীব্র বিরোধী হোসাবলে। বিরোধীদের মতে, হোসাবলের মতো কট্টর ভাবমূর্তির ব্যক্তির সঙ্ঘের দু’নম্বর পদে আসীন হওয়ার অর্থ বিজেপি আগামী দিনে আরও বেশি করে হিন্দুত্বের পথে এগোবে।
সঙ্ঘের ক্ষমতার গঠনতন্ত্রে সঙ্ঘ প্রধান বা সরসঙ্ঘচালকের পরেই সহ-কার্যবাহ বা সাধারণ সম্পাদকের পদ। ২০০৯ সালে ওই পদে বসেছিলেন ভাইয়াজি জোশী। এর পর টানা চার বার অর্থাৎ মোট বারো বছর ওই পদে ছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা মাথায় রেখে পরবর্তী সহ-কার্যবাহ নির্বাচন করতে গত শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে বসে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা। সেখানেই সহ-কার্যবাহ হিসাবে দত্তাত্রেয় হোসবলেকে বেছে নেয় দল। বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র দত্তাত্রেয় ১৯৬৮ সালে সঙ্ঘ পরিবারে যোগ দেন। গত ১২ বছর ধরে তিনি ছিলেন ভাইয়াজী জোশীর সহকারী। এ বার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সম্পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy