এ বার এফপিও নিয়ে পিছু হঠার কারণ জানালেন গৌতম আদানি। ফাইল চিত্র।
বুধবার রাতেই স্থগিত হয়ে গিয়েছিল আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের নতুন শেয়ার ছাড়ার (এফপিও) প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার ‘মোদী-ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানি নিজেই তাঁর সংস্থার এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করলেন। টুইটারে পোস্ট করা ভিডিয়ো বার্তায় আদানি বলেছেন, ‘‘এফপিও প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অনেকই অবাক হবেন। কিন্তু এখন বাজারের অস্থিরতা বিবেচনা করে, সংস্থার পরিচালন বোর্ড দৃঢ় ভাবে মনে করেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এফপিও নিয়ে এগিয়ে যাওয়া নৈতিক ভাবে ঠিক হবে না।’’ সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমাদের বিনিয়োগকারীদের লোকসানের আঁচ থেকে বাঁচাতেই এফপিও প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত।’’
আদানির শিল্পগোষ্ঠীর ‘প্রতারণা’ নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকে টানা পড়ে চলেছে তাদের সাতটি সংস্থার শেয়ার দর। তা সত্ত্বেও আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের দ্বিতীয় দফার শেয়ার (এফপিও) কেনার জন্য সম্পূর্ণ আবেদন জমা পড়েছিল। তার জন্য লগ্নিকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। কিন্তু বুধবার রাতে সংস্থাটি জানায়, অনিশ্চিত বাজারে ওই এফপিও নিয়ে এগোবে না তারা। লগ্নিকারীদের টাকা ফেরানো হবে।
#WATCH | After a fully subscribed FPO, yday’s decision of its withdrawal would've surprised many. But considering volatility of market seen yday, board strongly felt that it wouldn't be morally correct to proceed with FPO:Gautam Adani, Chairman, Adani Group
— ANI (@ANI) February 2, 2023
(Source: Adani Group) pic.twitter.com/wCfTSJTbbA
বুধবারও আদানি এন্টারপ্রাইজ়েস-সহ গোষ্ঠীর প্রতিটি সংস্থার শেয়ার দর বিপুল পড়েছে। সেটাই সংস্থার এই সিদ্ধান্তের প্রধান কারণ বলে মনে করছে বাজার মহল। এই সিদ্ধান্তের আগে বুধবার গোষ্ঠীর শেয়ারের পতন নিয়ে আর্থিক বিষয়ক সচিব অজয় শেঠকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, একটি নির্দিষ্ট সংস্থার বিষয়ে কেন্দ্র মন্তব্য করে না। এ দিকে এরই মধ্যে ব্যক্তিগত শেয়ার সম্পদে ক্ষয়ের ফলে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির তকমা হারিয়েছেন গৌতম আদানি। সেই জায়গায় ফের উঠে এসেছেন মুকেশ অম্বানী।
আমেরিকার শেয়ার সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টে দাবি করেছিল, এক দশক ধরে শেয়ারের দরে কারচুপি করছে আদানি গোষ্ঠী। ২৪ জানুয়ারি রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই আদানিদের ১০টি সংস্থার শেয়ারে ধস নামে। আদানিরা বিবৃতিতে অভিযোগ করে, হিন্ডেনবার্গ স্বল্পমেয়াদি মুনাফার জন্য রিপোর্ট তৈরি করেছে। এটা ভারতের অগ্রগতিকে রোখার চক্রান্ত। এই আক্রমণাত্মক বিবৃতি সত্ত্বেও অবশ্য হাল ফেরেনি। উপরন্তু, হিন্ডেনবার্গ পাল্টা বলে, জাতীয়তাবাদের আড়ালে প্রতারণা ঢাকা দেওয়া যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy