হিমাচল প্রদেশে আদানি গোষ্ঠীর সংস্থা আদানি উইলমার লিমিটেডে হানা দিল সেই রাজ্যের আবগারি এবং আয়কর দফতর। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
হিমাচল প্রদেশে আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন সংস্থা আদানি উইলমার লিমিটেডের ভান্ডার এবং তহবিল খতিয়ে দেখল সেই রাজ্যের আবগারি এবং আয়কর দফতর। বুধবার সন্ধ্যায় ওই সংস্থার পরওয়ানুর গুদামে হানা দেন আবগারি এবং আয়কর দফতরের পরওয়ানু (দক্ষিণ) শাখার আধিকারিকরা। যদিও এই অভিযানে তদন্তকারী আধিকারিকরা কোনও গোপন নথি বা তথ্য পেয়েছেন কি না, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। অভিযান চালানো আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই অভিযান একটি ‘রুটিন নজরদারি’ ছিল।
সম্প্রতি আমেরিকার শেয়ার সংক্রান্ত সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের’ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্নের মুখে পড়েছে গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গোষ্ঠী। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিগত এক দশক ধরে শেয়ারে কারচুপি করে চলেছে আদানিদের সংস্থা। যে কারণে ধস নেমেছে আদানিদের শেয়ারেও। আর সেই রিপোর্টের জেরে বিজেপি এবং বিরোধীদের তরজাতে প্রতি দিন তোলপাড় হচ্ছে সংসদ। বিরোধীদের দাবি, আদানিকাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করে তদন্ত করতে হবে। মোদী আমলেই কী ভাবে আদানিদের এত রমরমা, সেই জবাব চেয়েও সংসদে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তবে সংসদে বিরোধী দলগুলির মধ্যে আদানিকাণ্ডে সব থেকে বেশি সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস।
ঘটনাচক্রে, সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেই রাজ্যের মসনদে বসেছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, সুখবিন্দর সিংহ সুখু। আদানিকাণ্ড মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেই সেই রাজ্যেরই আদানি গোষ্ঠীর এক সংস্থার অফিসে ঢুঁ মারলেন আবগারি এবং আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবসায় থাকা আদানি উইলমারের তরফে প্রতি বছর রাজ্যের পুলিশ দফতর এবং নাগরিক পরিষেবা প্রদান দফতরেও পণ্য সরবরাহ করা হয়। গত বছর এই সংস্থা রাজ্যে ১৩৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। আদানি গোষ্ঠীর মোট সাত সংস্থা হিমাচলে ব্যবসা চালাচ্ছে বলেও সে রাজ্যের আবগারি দফতর সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy