মণিপুরে রাস্তা আটকে মহিলাদের বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
মণিপুরে অশান্তিতে বিরাম নেই। শনিবারও নতুন করে উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। রাস্তা আটকে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন মণিপুরের মহিলারা। বিক্ষোভ সামাল দিতে পথে নেমেছে সেনাবাহিনী।
মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের ঘড়ি এলাকায় যান চলাচলের রাস্তা আটকে শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন একদল মহিলা। তাঁদের সঙ্গে কয়েক জন পুরুষ থাকলেও বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন মেয়েরাই। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে পড়েন তাঁরা। রাস্তা পুরোপুরি আটকে চলতে থাকে বিক্ষোভ। এমনকি, বিক্ষোভকারীরা রাস্তার মাঝে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। মূলত, ভিডিয়োকাণ্ডের প্রতিবাদেই পথে নেমেছিলেন ওই মহিলারা। তাঁদের হাতে আরএসএস-বিরোধী প্ল্যাকার্ডও দেখা গিয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সশস্ত্র পুলিশবাহিনীর পাশাপাশি, সেনা জওয়ানদেরও সেখানে পাঠানো হয়। তাঁরা গিয়ে আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। এর পর বিক্ষোভকারীদের আটকাতে ইম্ফলের জায়গায় জায়গায় প্রচারমূলক মিছিলও করা হয়।
গত মে মাস থেকে কুকি এবং মেইতেই জনজাতির সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। এখনও পর্যন্ত ১৫০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিনের পর দিন ঘরছাড়া হয়ে কাটাচ্ছেন অনেকে। অশান্তির আবহে মণিপুর ছেড়ে অন্য রাজ্যেও পালিয়ে গিয়েছেন কেউ কেউ।
এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি মণিপুরের একটি ভিডিয়োকে ঘিরে নতুন করে চড়েছে উত্তাপের পারদ। ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, দুই মণিপুরী মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটানো হচ্ছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর দেশ জুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। বিতর্কের মাঝে জোরালো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের পদত্যাগের দাবি। এমনকি, মণিপুরের হিংসা নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেখানে গত দু’মাস ধরে নীরব ছিলেন, তিনিও মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন এই ভিডিয়ো দেখার পর। মণিপুরের পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্টও। এই পরিস্থিতিতেই উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে শনিবার মহিলাদের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আবার উত্তেজনা ছড়াল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy