—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কেন্দ্রীয় আধাসেনা এবং রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ়ে ধারাবাহিক ভাবে মৃত্যু হচ্ছে মাওবাদী গেরিলাদের। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে আত্মসমর্পণের প্রবণতাও। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনের চার মাওবাদী নেতা, যাঁদের মাথার দাম ছিল ৩২ লক্ষ টাকা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, বুধবার নারায়ণপুর জেলার পুলিশ সুপার প্রভাত কুমারের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণকারী চার মাওবাদী কমান্ডারের মধ্যে রয়েছেন এক দম্পতিও। ওই চার জনের বিরুদ্ধে খুন, নাশকতা-সহ ৪০টিরও বেশি গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তবে যৌথবাহিনীর অভিযান নয়, এই সাফল্য ছত্তীসগঢ় ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচির সাফল্য বলে জানিয়েছেন প্রভাত। তিনি বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় আরও কয়েক জন নেতা-নেত্রী ভবিষ্যতে আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরবেন।’’
পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী গান্ধী তাঁতি ওরফে আরব ওরফে কমলেশ (৩৫) এবং মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম (৩৫) মাওবাদীদের বস্তার বিভাগীয় কমিটির সদস্য। কমলেশ ২০১০ সালে দান্তেওয়াড়া জেলায় (বর্তমানে সুকমা) যৌথবাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে ৭৬ জওয়ানকে খুনের মাওবাদী সন্ত্রাসে জড়িত ছিলেন। হেমলাল সিপিআই (মাওবাদী)-র আমদাই ‘এরিয়া কমিটি’র সম্পাদক। অন্য দুই মাওবাদী গেরিলা হলেন রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন (৩০) এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজল। গত বছর বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায় মোট ৭৯২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেন বলে বুধবার জানিয়েছে ছত্তীসগঢ় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy