Advertisement
E-Paper

আরটিআই বিলের বিরুদ্ধে তথ্য কমিশনের প্রাক্তনীদের নিশানায় মোদী সরকার

লোকসভায় আরটিআই বিল নিয়ে বিতর্কে কংগ্রেসের শশী তারুর প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন নরেন্দ্র মোদীর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আরটিআই-তে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেই কি তাঁদের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে?

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯ ০২:৪০
Share
Save

একসঙ্গে সাত জন প্রাক্তন মুখ্য তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনার আজ মোদী সরকারকে নিশানা করলেন। তাঁদের অভিযোগ, তথ্যের অধিকার বা আরটিআই আইনে সংশোধন করে তথ্য কমিশনারদের স্বাধীনতা খর্ব করতে চাইছে সরকার। হস্তক্ষেপ করতে চাইছে তথ্য জানার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারেও।

লোকসভায় আরটিআই বিল নিয়ে বিতর্কে কংগ্রেসের শশী তারুর প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন নরেন্দ্র মোদীর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আরটিআই-তে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেই কি তাঁদের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে? ১৯৭৮-এ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন মোদী। আরটিআই-তে সেই তথ্য চাওয়া হলে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন সেই তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেয়। তাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। আগামিকালই সেই মামলার শুনানি।

তথ্য কমিশনারদের বেতন ও মেয়াদ ঠিক করার ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নিতে বিল এনেছে সরকার। সরকার আসলে তথ্য কমিশনারদের হাতের পুতুল করে রাখতে চাইছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুললেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে সেই বিল। আজ যখন বিরোধীরা রাজ্যসভায় বিলটি আটকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেই সময় দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাক্তন মুখ্য তথ্য কমিশনার ওয়াজাহাত হাবিবুল্লা বলেন, ‘‘তথ্য কমিশনারদের বেতন ও মেয়াদ সরকার ঠিক করবে বলে এই সংশোধনের কোনও প্রয়োজনই ছিল না।’’ হাবিবুল্লার মতে, বিলে কোনও সংশোধন করার দরকার হলে তথ্য কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার জন্য তা করা উচিত ছিল।

মোদী সরকারের যুক্তি, নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নয় তথ্য কমিশন। তাই তথ্য কমিশনারদের বেতন ও মেয়াদও নির্বাচন কমিশনারদের সমতুল হওয়া উচিত নয়। কিন্তু শ্রীধর আচারুলু, এম এম আনসারি, শৈলেশ গাঁধীর মতো প্রাক্তন তথ্য কমিশনারদের যুক্তি, সংবিধানে বাক্-স্বাধীনতা ও মত প্রকাশ মৌলিক অধিকার। নির্বাচন কমিশন যেমন নিজের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের মৌলিক অধিকার কার্যকর করছে, তেমনই তথ্য জানার মৌলিক অধিকার কার্যকর করছে তথ্য কমিশন।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

RTI Narendra Modi BJP

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।