বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের সংগঠন। গত কালই শীর্ষ আদালত জানতে চায়, এক পদ এক পেনশন নীতিগত ভাবে মেনে নিলেও প্রতি বছর নিয়ম মেনে পেনশন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি থেকে সরকার সরে দাঁড়িয়েছে কি না?
ফাইল চিত্র।
এক পদ এক পেনশন নীতি নিয়ে কেন্দ্রের ‘বড় বড়’ কথার ফলে প্রাক্তন সেনারা আসলে যা হাতে পান তার চেয়ে অনেক সুন্দর চিত্র তৈরি হয়েছে বলে আজ মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট।
এক পদ এক পেনশন নীতির অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর একই পদে একই মেয়াদে কাজ করা কর্মীদের একই পেনশন দেওয়া নিশ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি সরকারের। কিন্তু ওই পেনশন বৃদ্ধির বিষয়টি পাঁচ বছর পরে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। প্রাক্তন সেনাদের দাবি, প্রতি বছরই ওই পেনশন নিয়ম মেনে বাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের সংগঠন। গত কালই শীর্ষ আদালত জানতে চায়, এক পদ এক পেনশন নীতিগত ভাবে মেনে নিলেও প্রতি বছর নিয়ম মেনে পেনশন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি থেকে সরকার সরে দাঁড়িয়েছে কি না?
আজ কেন্দ্রের আইনজীবী জানান, এক পদ এক পেনশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘এক পদ এক পেনশনের এখনও কোনও বিধিবদ্ধ সংজ্ঞা নেই। আপনাদের বড় বড় কথার ফলে প্রাক্তন সেনারা আসলে যা পান তার চেয়ে অনেক সুন্দর চিত্র তৈরি হয়েছে। এক পদ এক পেনশন শব্দবন্ধটি কায়দা করে তৈরি করা হয়েছে।’’ কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, ‘‘হ্যাঁ। কিন্তু আমরা ওই শব্দবন্ধ তৈরির সময়ে সব দিক খতিয়ে দেখেছি। একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নিইনি।’’ আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, ২০১৪ সালে যাঁরা অবসর নিয়েছেন তাঁরা ১৯৬৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যাঁরা অবসর নিয়েছেন তাঁদের থেকে বেশি পেনশন পাচ্ছেন। ফলে এক পদ এক পেনশন নীতি অর্থহীন হয়ে যাচ্ছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy