নিহত সাবির মালিক। —ফাইল ছবি।
বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় গোমাংস খাওয়ার ‘অপরাধে’ গণপিটুনিতে খুন হয়েছিলেন বঙ্গসন্তান সাবির মালিক। কিন্তু এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, তাঁর ঝুপড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা মাংস আদৌ গোমাংস নয়। হরিয়ানার এক পরীক্ষাগার জানিয়েছে বলেও দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে হরিয়ানায় কাগজ কুড়োনোর কাজে গিয়েছিলেন সাবির। হরিয়ানার ছারখি দাদরি জেলার হাংসাওয়াস খুর্দ গ্রামে ঝুপড়িতে স্ত্রী ও দু’বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। ২৭ অগস্ট স্থানীয় যুবকদের একাংশ পুলিশকে ফোন করে জানান, গ্রামের ঝুপড়িগুলিতে গোমাংস রান্না হচ্ছে। মাংসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠায় পুলিশ।
অভিযোগ, তার কয়েক ঘণ্টা পরে খালি প্লাস্টিকের বোতল বেচার অজুহাতে মালিককে পাশের দোকানে ডাকে অভিযুক্তেরা। সেখানেই তাঁকে মারধর করা হয়। কয়েক জন বাসিন্দা বাধা দিলে অন্যত্র নিয়ে ফের মারধর করা হয়। অভিযোগ, তাতে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে সাবিরের ঝুপড়ির কাছে তাঁর দেহ মেলে। ঘটনায় ১৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১০ জন গ্রেফতার হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, বাধরা (ছরথি দাদরি) পুলিশের ডেপুটি সুপার ভারত ভূষণ জানিয়েছেন, ওই ঝুপড়ি থেকে পাওয়া মাংস গোমাংস নয় বলে জানিয়েছে ফরিদাবাদের পরীক্ষাগার। রিপোর্ট নিম্ন আদালতে পেশ হবে।
তথাকথিত গোরক্ষকদের তাণ্ডবে বারবার সংবাদের শিরোনামে এসেছে হরিয়ানা। সাবিরের ঘটনার কিছু দিন পরেই ভুল করে আরিয়ান মিশ্র নামে এক যুবককে গুলি করে খুন করে তথাকথিত গোরক্ষকেরা। তারা ভেবেছিল আরিয়ান এক জন গোমাংস পাচারকারী। হরিয়ানা পুলিশের এক প্রাক্তন অফিসারের মতে, এই তথাকথিত গোরক্ষকেরা বজরং দলের সদস্য। তাদের পিছনে সমর্থন রয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের।
জমিয়তে উলেমা ই হিন্দের দাবি, হরিয়ানায় ভোটের আগে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে পিটিয়ে খুন করা হয় সাবিরকে। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে মেরুকরণের রাজনীতির চেষ্টা হয়েছিল। হরিয়ানায় তৃতীয় বার জয় পেয়েছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy