বৈঠকে স্থলসীমান্তে উত্তেজনা কমানো নিয়ে সচিব পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে পাকিস্তান, নেপাল এবং বাংলাদেশের সঙ্গে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে রেল সংযোগ বাড়ানো, শ্রীলঙ্কায় মানবিক সহায়তা পাঠানো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
দিল্লির মসনদে বসার পরেই নরেন্দ্র মোদীর বিদেশনীতির প্রাথমিক মন্ত্র ছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া। কিন্তু কালক্রমে দেখা গিয়েছে, প্রতিবেশী বলয় ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হয়েছে। সার্কের সহযোগিতা-মঞ্চ কার্যত অকেজো। চিন ক্রমশ প্রভাব বাড়াচ্ছে ভারতের চার পাশে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সরকারি তরফে ‘ইন্টার মিনিস্টেরিয়াল কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ’-এর প্রথম বৈঠকটি করলেন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন এই আলোচনায়।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী টুইট করে জানিয়েছেন, এই মঞ্চটির মাধ্যমে প্রতিবেশীদের সঙ্গে পরিকাঠামোগত যোগাযোগ, মানুষের সংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। এই উদ্যোগে যুক্ত রয়েছে মায়ানমার-সহ সার্কের বিভিন্ন দেশ। তিনি বলেন, ‘‘বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ, সীমান্ত পরিকাঠামো, সীমান্ত নিরাপত্তা, উন্নয়নমুখী প্রকল্প, অভিবাসনের মতো বিষয়গুলির ক্ষেত্রে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মলদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কথা হয়েছে।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পাকিস্তানকেও এই উদ্যোগে শামিল করা হয়েছে। কিন্তু নেই চিন। ইসলামাবাদ এবং কলম্বো – দুই রাজধানীতেই চলছে টালমাটাল পরিস্থিতি। দু’টি দেশই ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে রয়েছে। ফলে এমন সময়ে এই উদ্যোগ রাজনৈতিক ভাবেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বৈঠকে স্থলসীমান্তে উত্তেজনা কমানো নিয়ে সচিব পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে পাকিস্তান, নেপাল এবং বাংলাদেশের সঙ্গে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে রেল সংযোগ বাড়ানো, শ্রীলঙ্কায় মানবিক সহায়তা পাঠানো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy