ওয়াংয়ের বক্তব্য, ‘‘কিছু শক্তি ভারত ও চিনের মধ্যে সমস্যা তৈরি করতে চায়। বিভিন্ন অঞ্চলকে বিভক্ত করতে চায়। তাদের কাজকর্ম চিন্তাশীল মানুষকে আরও সতর্ক করেছে।’’ নাম না করে ওয়াং আমেরিকার দিকে ইঙ্গিত করেছে বলে ধারণা কূটনীতিকদের।
এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ওয়াং ই। —ফাইল চিত্র।
চিন ও ভারতের সম্পর্ক সাম্প্রতিক কালে ধাক্কা খেয়েছে বলে মেনে নিলেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তবে এই দুই দেশের একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত বলেই মনে করেন তিনি। ওয়াং-এর মতে, সীমান্ত সমস্যাও মেটানো উচিত আলোচনার মাধ্যমে।
আজ বেজিংয়ে বাৎসরিক সাংবাদিক বৈঠকে ওয়াং বলেন, ‘‘ভারত-চিন সম্পর্ক সম্প্রতি কিছু ধাক্কা খেয়েছে। তা দু’দেশেরই মৌলিক স্বার্থের পরিপন্থী।’’ ওয়াংয়ের বক্তব্য, ‘‘সীমান্ত সমস্যা ইতিহাসের দান। চিন সব সময়েই আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান খোঁজার কথা বলে এসেছে। সেইসঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতার চিত্রে ওই বিষয়টির প্রভাব পড়তে দিতে চায় না চিন।’’ ওয়াংয়ের মতে, ‘‘চিন ও ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত।’’ লাদাখে কয়েকটি এলাকা থেকে এখনও চিনা সেনা সরার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সম্প্রতি চিন প্রসঙ্গে সুর চড়িয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তার প্রেক্ষিতে ওয়াংয়ের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
ওয়াংয়ের বক্তব্য, ‘‘কিছু শক্তি ভারত ও চিনের মধ্যে সমস্যা তৈরি করতে চায়। বিভিন্ন অঞ্চলকে বিভক্ত করতে চায়। তাদের কাজকর্ম চিন্তাশীল মানুষকে আরও সতর্ক করেছে।’’ নাম না করে ওয়াং আমেরিকার দিকে ইঙ্গিত করেছে বলে ধারণা কূটনীতিকদের।
চিনা বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ‘‘চিন ও ভারত, দুই দেশের জনসংখ্যাই ১০০ কোটির উপরে। অনেকেই বুঝতে পেরেছেন নিরপেক্ষ থাকলে তবেই তারা নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারবে।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভারতীয় প্রবাদ অনুযায়ী, ভাইয়ের নৌকো পার করে দিলে নিজের নৌকোও তীরে পৌঁছয়। আমরা মনে করি কৌশলগত ভাবে চিনের কাছ থেকে ভারতের বা ভারতের কাছ থেকে চিনের কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। বরং একে অপরকে উন্নয়নের সুযোগ দিতে পারে তারা। আমাদের আশা ভারত এই মতকে সত্য প্রমাণ করতে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy