For different reason men in this Rajasthan village marry twice dgtl
Rajasthan
Polygamy: অদ্ভুত এক কারণে রাজস্থানের এই গ্রামের পুরুষরা দু’টি করে বিয়ে করেন
এই গ্রামেরই এক অদ্ভুত রীতি সারা দেশের কাছে একে পরিচিতি এনে দিয়েছে। দেরাসরের প্রতিটি পুরুষের অন্তত দু’জন করে স্ত্রী!
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২১ ০৯:৩৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
ভারত-পাক সীমান্তের কাছে রয়েছে রাজস্থানের বাড়মের জেলার অন্তর্গত একটি ছোট্ট গ্রাম। নাম দেরাসর। বড়জোর ৬০০ জনের বাস। কিন্তু এই গ্রামেরই এক অদ্ভুত রীতি সারা দেশের কাছে একে পরিচিতি এনে দিয়েছে। দেরাসরের প্রতিটি পুরুষের অন্তত দু’জন করে স্ত্রী!
০২১০
এই বিষয়টি শুনতে যতটা অদ্ভুত লাগছে তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি অদ্ভুত লাগবে এমন রীতির পিছনের কারণ জেনে।
০৩১০
গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, প্রথম স্ত্রী থেকে কোনও স্বামীরই সন্তান হবে না। সন্তানের মুখ দেখতে গেলে নাকি দ্বিতীয় বিয়ে করতেই হবে। এই অদ্ভুত বিশ্বাস থেকেই দ্বিতীয় বিয়ে করেন গ্রামের পুরুষরা।
০৪১০
এমন রীতির সূত্রপাত অতীতের একটি ঘটনা থেকে। গ্রামের এক ব্যক্তির নাকি কিছুতেই সন্তান হচ্ছিল না। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতেই সন্তানলাভ করেন।
০৫১০
এর পর যখনই এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতেন গ্রামের কোনও পুরুষ, তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে দেওয়া হত। আর তাতেই নাকি মিলত ফল। এই ভাবে পুরুষের বহুবিবাহ গ্রামের রীতিতে পরিণত হয়।
০৬১০
আরও একটি কারণ রয়েছে এমন রীতির পিছনে। গ্রামে তীব্র জলসঙ্কট। অন্তত পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে পরিবারের মহিলাদের জল আনতে হয় এই গ্রামে। অন্তঃসত্ত্বা হলে কোনও মহিলার পক্ষেই হেঁটে জল আনা সম্ভব নয়। সে কারণেও দ্বিতীয় বিয়ে করে থাকেন পুরুষরা।
০৭১০
সে ক্ষেত্রে প্রথমজনকে সে ভাবে স্ত্রী-র কোনও অধিকারই দেওয়া হয় না। তাঁরা বরং বাড়ির পরিচারিকার মতো জীবন কাটিয়ে থাকেন। প্রথম স্ত্রীকে বলা হয় ‘জল স্ত্রী’।
০৮১০
সাধারণত প্রথম স্ত্রী সারা জীবনে সন্তানধারণের অধিকার পান না। স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেরও অধিকার নেই তাঁদের।
০৯১০
কোনও পুরুষ যদি এই রীতির বিরোধিতা করেন তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে পুরো গ্রাম একজোট হয়। এমনকি নিজের পরিবারও তাঁকে পরিত্যাগ করবে। গ্রাম থেকেই বিতারিত করা হয় তাঁকে।
১০১০
দ্বিতীয় স্ত্রীও যদি সন্তানধারণ না করে থাকেন সে ক্ষেত্রে স্বামীকে আরও একটি বিয়ে করতে হয়। উপার্জনকারী স্বামীকে পরিবারের পুরো দায়িত্ব নিতে হয়।