বিতর্কিত মন্তব্য করে আবারও বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেললেন দলীয় সাংসদ সুব্রহ্ম্যণম স্বামী। এ বার তাঁর নিশানায় উঠে এলেন দুই প্রাক্তন— জওহরলাল নেহরু এবং অটলবিহারী বাজপেয়ী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও সমান আক্রমণাত্মক স্বামী। তাঁর দাবি, নেহরু এবং বাজপেয়ীর নির্বুদ্ধিতার জেরেই চিনের হাতে চলে গিয়েছে তিব্বত এবং তাইওয়ান। অন্য দিকে, চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি) অগ্রাহ্য করে লাদাখের অংশ দখল করে নিলেও তাতে মোদীর তাপউত্তাপ নেই।
ঘটনাচক্রে, চিনের চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করেই আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকালেই এই মন্তব্য করেন স্বামী।বুধবার সকালে তাঁর টুইট, ‘আমরা, ভারতীয়রা নেহরু এবং এবিভি (অটলবিহারী বাজপেয়ী)-র নির্বুদ্ধিতার জন্য চিনের কাছে তিব্বত এবং তাইওয়ানকে হারিয়েছি। আর এখন এলএসি-কে মান্যতাই দেয় না চিন। এবং লাদাখের অংশ দখল করে নিলেও মোদী স্থবিরের মতো মন্তব্য করেন, ‘কোই আয়া নহি (কেউ আসেনি)।' মোদীর বিরুদ্ধে ভোটের রাজনীতি করার অভিযোগও তুলেছেন স্বামী। তিনি লিখেছেন, ‘চিনের বোঝা উচিত, সব সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে ভোট।’
We Indians conceded that Tibet and Taiwan as part of China due the foolishness of Nehru and ABV. But now China does even honour the mutually agreed LAC and grabbed parts of Ladakh while Modi is in stupor stating "koi aaya nahin". China should know we have elections to decide .
— Subramanian Swamy (@Swamy39) August 3, 2022
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে তিব্বতকে নিজেদের অধীনস্থ বলে ঘোষণা করেছিল চিন। অন্য দিকে, স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানের দিকে চিনের দীর্ঘ দিনের নজর রয়েছে বলেও অভিযোগ। এই আবহে পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে আমেরিকা এবং চিনের মৌখিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। তবে আমেরিকার বিরুদ্ধে শি জিনপিং সরকারের হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করেই মঙ্গলবার রাতে তাইওয়ানে পা রেখেছেন পেলোসি। এই আবহে বিতর্কিত মন্তব্য করেন স্বামী। যদিও এর আগেও নিজের দল তথা প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে অস্বস্তিকর মন্তব্য করেছেন তিনি। কখনও বলেছেন, ‘‘দেশে বিজেপিই একমাত্র দল হিসাবে থাকলে গণতন্ত্র দুর্বল হবে।’’ কখনও বা তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘মোদী সরকার অর্থনোইতিক নীতি নির্ধারণে ব্যর্থ হলেও হিন্দুত্বের জন্যই ক্ষমতায় ফিরবে। বালাকোট না হলে ১৬০-এর বেশি আসন পেত না বিজেপি।’’ এমনকি, নরেন্দ্র মোদীর বদলে নিতিন গডকড়ীকে প্রধানমন্ত্রী করারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্বামী।