Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

কেরলে বন্যায় মৃত ৪৮, মহারাষ্ট্রে ২৮, উদ্ধারে ওয়েইনাড়ে নামল নৌবাহিনীর চপার

মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) আরও ১৩ কোম্পানি। ডুবে যাওয়া ওয়েইনাড় জেলায় উদ্ধার ও ত্রাণে শনিবার সকালেই পৌঁছে গিয়েছে নৌবাহিনীর চপার। মালাপ্পুরম জেলার অবস্থাও ভয়াবহ।

কেরলে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি- রয়টার্স

কেরলে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি- রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৯ ১২:২৭
Share: Save:

বন্যায় কেরল ও মহারাষ্ট্রের অবস্থা ভয়াবহ। ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে কেরলে। ওই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৮। মহারাষ্ট্রে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। কর্নাটক, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, গুজরাতের অবস্থাও তথৈবচ।

চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে কেরলের ৯টি জেলায়। উদ্ধার ও ত্রাণে শুক্রবার সকাল থেকেই সেনাবাহিনী নেমেছে বানভাসি কেরলে মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) আরও ১৩ কোম্পানি। ডুবে যাওয়া ওয়েইনাড় জেলায় উদ্ধার ও ত্রাণে শনিবার সকালেই পৌঁছে গিয়েছে নৌবাহিনীর চপার। মালাপ্পুরম জেলার অবস্থাও ভয়াবহ।

ও দিকে, মহারাষ্ট্রে গোটা কোলহাপুর শহরটাই চলে গিয়েছে প্রায় ১০ ফুট গভীর জলের তলায়। ফ্লাইওভারের উপর থেকে দেখা যাচ্ছে শুধুই বহুতলগুলির ছাদ। এমনকী, জল কোথাও কোথাও প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে ফ্লাইওভারকেও! রাজ্যের কোলহাপুর, সাতারা ও সাংলি জেলা থেকে কম করে দু’লক্ষ মানুষকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহারাষ্ট্র, কেরল ও কর্নাটকে মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ-এর অন্তত ২৫০টি দল।

বানভাসি কেরল। ছবি- পিটিআই

কর্নাটকের অবস্থাও তথৈবচ। বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় কৃষ্ণা নদীর বাঁধ থেকে প্রায় পৌনে ৬ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তার ফলে ভেসে গিয়েছে সারপুর তালুকের বেশ কয়েকটি গ্রাম ও গোটা ইয়াদগির জেলা। মুম্বই ও বেঙ্গালুরুর মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী ২৪ নম্বর জাতীয় সড়ক পুরোপুরি জলের তলায় চলে গিয়েছে।

বানভাসি কেরল: দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন- শ্রমিক নিখোঁজ হলে তবেই হুঁশ?​

আরও পড়ুন- দেড় লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া মহারাষ্ট্রে, রেড অ্যালার্ট কেরলে, বানভাসি কর্নাটক-ওড়িশাও​

উদ্ধারকাজ বানভাসি মহারাষ্ট্রে। ছবি- পিটিআই

একটানা প্রবল বর্ষণের জেরে বানভাসি হয়ে গিয়েছে মালাপ্পুরম-সহ কেরলের বেশ কয়েকটি জেলা। জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কম করে ৪২ জনের। সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন। ওয়েইনাড় জেলায় ধসে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় ২২ হাজার মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৩১৫টি ত্রাণ শিবিরে। কোঝিকোড় জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।

বানভাসি কেরলে চলছে উদ্ধারকাজ: দেখুন ভিডিয়ো

চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে ওয়েইনাড়, ইদুক্কি, মালাপ্পুরম ও কোঝিকোড়-সহ ৯টি জেলায়। জল ঢুকে পড়ায় কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রবিবার বিকেল পর্যন্ত বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজ্যের ১৪টি জেলার সব স্কুল, কলেজই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণে সেনাবাহিনী নেমেছে আলাপ্পুঝা, পাঠানামথিট্টা ও এর্নাকুলামে। বন্যায় ভয়াবহ অবস্থা কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে।

উদ্ধারকাজ বানভাসি মহারাষ্ট্রে। ছবি- পিটিআই

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর আগামী ১৪ অগস্ট পর্যন্ত প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে। জানানো হয়েছে, ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে আর তার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা পাঠানামথিট্টা, কোট্টায়াম, ইদুক্কি, এর্নাকুলাম এবং ত্রিশূরে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়েইনাড়ের একটি চা বাগানে ধস নামে। তার জেরে বহু শ্রমিকের ঘরবাড়ি ভেসে যায় জলের তোড়ে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, কম করে ১৫০ জন ধ্বংসাবশেষের নীচে আটকে পড়েছেন। জখম হয়েছেন ২০০ জন। ৬০ জনকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। মিলেছে ২ জনের দেহও। তবে ধসের জন্য উদ্ধারকাজ চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। গত ২০ বছরে এতটা ধস নামেনি এই অঞ্চলে।

মালাপ্পুরমের নীলামপুর গ্রামটির বহু এলাকায় ধসের ফলে ওই এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং সেখানে জলস্তর দ্রুত বাড়ছে। সেনাবাহিনী এবং এনডিআরএফের দলগুলি ওই এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণে নেমে পড়েছে।

প্রবল বর্ষণে দক্ষিণ ও পশ্চিম ওড়িশায় গত এক সপ্তাহে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলায় চার মহিলা-সহ মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy