ফাইল ছবি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আপত্তিকর’ ও হুমকি দেওয়া পোস্টের জন্য এ বার ৫ বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা অথবা দু’টোই হবে কেরলে। এর জন্য রাজ্যের পুলিশ আইনের সংশোধন করে যে অর্ডিন্যান্স এনেছে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বাম গণতান্ত্রিক জোট (এলডিএফ) সরকার, তাতে সই করেছেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। রাজ্যপালের অফিস এই খবর সমর্থন করে জানিয়েছে, শনিবার এই অর্ডিন্যান্স রাজ্যপালের অনুমোদন পেয়েছে।
পুলিশ আইনের এই সংশোধন মুক্ত চিন্তা ও বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে এই যুক্তিতে ইতিমধ্যেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন কেরলের আইনজীবী ও বিদ্বজ্জনদের একাংশ। বিষয়টি কেরল হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে এমন ইঙ্গিতও মিলেছে।
এই অর্ডিন্যান্সে কেরল পুলিশ আইনে একটি নতুন অনুচ্ছেদ যোগ করা হয়েছে। ১১৮ (এ)। এর ফলে, কেরলে যদি কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও আপত্তিকর পোস্ট করেন বা কারও আপত্তিকর পোস্ট শেয়ার করেন বা এমন কোনও পোস্ট করেন যা বিদ্বেষমূলক, অন্যের মানহানি ঘটাচ্ছে বা ঘটানোর চেষ্টা করছে অথবা কোনও পোস্টে কাউকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তা হলে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি হবে ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা। অথবা একই সঙ্গে জেল ও জরিমানা, দু’টোই।
রাজ্যের পুলিশ আইনের এই সংশোধন মুক্ত চিন্তা ও বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে এই যুক্তিতে ইতিমধ্যেই পিনারাই সরকারের এই অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন কেরলের আইনজীবী ও বিদ্বজ্জনদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, এই অর্ডিন্যান্সের উদ্দেশ্য, রাজনৈতিক বিরোধীদের ও সংবাদমাধ্যমগুলির মুখ বন্ধ করে দেওয়া। তাই এই অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাজ্য পুলিশের হাতে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: মাছি তাড়াচ্ছে হল, বন্ধ হয়ে গেল মেনকা, প্রিয়া, প্রাচী, জয়ার মতো সিঙ্গল স্ক্রিন
আরও পড়ুন: দু’এক দিনেই মেঘ কেটে শীত-শীত আমেজ ফিরে আসবে হাওয়ায়
দিনকয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভাবে আপত্তিকর পোস্ট, বিদ্বেষমূলক, হুমকি এবং অবমাননাকর পোস্ট বা়ড়ছে তা রুখতে এই অর্ডিন্যান্সের খুব প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
এর আগেও, ২০১৫ সালে কেরল পুলিশ আইনে নতুন ধারা সংযোজনকে কেন্দ্র করে জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। পুলিশ আইনে সেই সময় সংযোজিত ১১৮ (ডি) অনুচ্ছেদের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন আইনজীবী অনুপ কুমারন। সুপ্রিম কোর্ট ওই অনুচ্ছেদটিকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিল।
অনুপ জানিয়েছেন, তিনি এ বারও ১১৮ (এ) অনুচ্ছেদের প্রতিবাদে যাবেন কেরল হাইকোর্টে। তাঁর কথায়, ‘‘বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতেই এই অর্ডিন্যান্স।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy