আরও এক অভিযুক্ত এখনও ফেরার প্রতীকী চিত্র
মাইসুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ এবং তাঁর বন্ধুর উপর হামলার ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শনিবার জানাল কর্নাটক পুলিশ। তবে আরও এক অভিযুক্ত এখনও ফেরার। তার খোঁজে জোর কদমে তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের ডিজিপি প্রবীণ সুদ। মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় মাইসুরুর চামুণ্ডী পাহাড়ের কাছে ঘটা এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত যে পাঁচ জন ধরা পড়েছে তারা সকলেই তামিলনাড়ুর তিরুপুর জেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। পেশায় দিনমজুর। ধৃতদের মধ্যে এক জন নাবালক বলে দাবি পুলিশের। বয়স আনুমানিক ১৭।
পুলিশ সূত্রের খবর, নির্যাতিতা আদতে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। মাইসুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ-র ছাত্রী। মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় ক্লাসেরই এক বন্ধুর সঙ্গে পাহাড়ি জঙ্গলের পথ ধরে যাচ্ছিলেন বছর বাইশের ওই তরুণী। সে সময়ে ওই রাস্তার ধারে বসে মদ্যপান করছিলেন অভিযুক্তরা। দু’জনকে যেতে দেখে তাঁদের পিছু নেয় তারা। ঘিরে ধরে টাকার দাবিও জানায়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রথমে ছাত্রীটির বন্ধুর উপর চড়াও হয় অভিযুক্তেরা। তাদের মধ্যে দু’জন ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার আঘাত গুরুতর।
শুক্রবার পুলিশকে দেওয়া বয়ানে নির্যাতিতার বন্ধু ওই যুবক জানিয়েছেন, একটি বোল্ডার দিয়ে তাঁর কপালে সজোরে আঘাত করে অভিযুক্তরা। জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফেরার পর দেখেন, চার অভিযুক্ত তাঁকে ঘিরে দাঁড়িয়ে। বান্ধবীর খোঁজ করতেই পাশে দাঁড়ানো একটি বাস থেকে জ্ঞানহীন নির্যাতিতাকে নামিয়ে এনে শুইয়ে দেওয়া হয় তাঁর পাশে। ছাত্রীটির শরীর জুড়ে ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন।
ওই যুবকের আরও দাবি, ছাত্রীটিকে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়েছে বলে তাঁকে জানায় অভিযুক্তরা। হুমকি দেয়, দাবি মতো টাকা না দিলে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এর পর তিন লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। টাকা আনানোর জন্য তাঁর বাবার নম্বরে ফোন করতে বলা হয় তাঁকে। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ওই যুবকের বাবা। নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।
বুধবার ঘটনাটি সামনে আসার পর থেকেই কর্নাটক-সহ গোটা দেশে বিক্ষোভের আগুন ছড়ায়। এর মাঝেই বিষয়টি নিয়ে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে শিরোনামে উঠে আসেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ. জ্ঞানেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমত বন্ধুকে নিয়ে ওই জঙ্গলে যাওয়াই ঠিক হয়নি ছাত্রীটির। জায়গাটা ফাঁকা থাকে...।’’ তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যের এই ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ মন্তব্যের নিন্দায় সরব হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইও।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মাইসুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পদক্ষেপকে কেন্দ্র করেও নিন্দার ঝড় ওঠে। এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, সন্ধে সাড়ে ৬টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনসানগোত্রিয়া ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের চলাফেরা নিষিদ্ধ। কুক্কারাহালি লেক ক্যাম্পাসেও সাড়ে ৬টার পর থেকে একই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পুলিশের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত বলে জানান কর্তৃপক্ষ। তবে এই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী সিএনএ নারায়ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy