Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Child Abuse

বেতন বাকি, শিশুকে আলাদা বসিয়ে রাখলেন শিক্ষিকা, বঞ্চনা পরীক্ষাতেও! পুলিশের দ্বারস্থ অভিভাবক

বেতন বাকি থাকায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়েকে অপমান করার উদ্দেশ্যে সকলের থেকে আলাদা বসিয়ে রেখেছিলেন শিক্ষিকা।

৮ বছরের শিশুকে হেনস্থার অভিযোগ।

৮ বছরের শিশুকে হেনস্থার অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৭
Share: Save:

বেতন না দেওয়ায় পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হল না ৮ বছরের শিশুকে। অন্য ছাত্রছাত্রীদের থেকে আলাদা করে বসিয়ে রেখে তাকে অপমানও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং শ্রেণিশিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন শিশুর অভিভাবক।

ঘটনাটি মুম্বইয়ের দাদর এলাকার। সেখানে একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। গত বুধবার পরীক্ষা (ইউনিট টেস্ট) ছিল। অভিযোগ, বেতন না দেওয়ায় ওই ছাত্রীকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগপত্রে ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের স্কুলের বেতন কিছুটা বাকি ছিল। সেই কারণে তাকে শ্রেণিতে সকলের থেকে আলাদা করে বসিয়ে রেখেছিলেন শিক্ষিকা। বাকি ছাত্রছাত্রীর সামনে তাকে অপমান করার উদ্দেশ্যেই তা করা হয়েছে।

বুধবার পরীক্ষায় বসতে না পারার পর ছাত্রীর বাবা শুক্রবার পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযুক্ত স্কুলপ্রধান এবং শ্রেণিশিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষা আইনের ৭৫ নম্বর ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই ধারায় কোনও ব্যক্তিকে তখনই দোষী সাব্যস্ত করা হয়, যখন তিনি কোনও শিশুর দায়িত্বে থাকেন এবং তাকে আঘাত, পরিত্যাগ বা ইচ্ছাকৃত ভাবে অবহেলা করেন।

ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর মেয়েকে সকলের চোখে ছোট করে দেখানো হয়েছে। তাকে আলাদা করে বসিয়ে এবং পরীক্ষা দিতে না দিয়ে সকলের থেকে আলাদা করে দেখানো হয়েছে। শিশুমনে এর গভীর প্রভাব পড়তে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি।

শিশুটির অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Child Abuse school student School Fees
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy