— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাত বাড়তেই শুরু হয়ে যেত তাঁদের ‘কাজ’! কাজ বলতে ছিল এটিএমে কার্ড ঢোকানোর জায়গায় আঠা মাখানো! আর এই ভাবেই দিল্লি থেকে ফরিদাবাদের মাঝামাঝি একাধিক এটিএম থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন তাঁরা। এ বার দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়ল সেই ‘ফেভিকুইক গ্যাং’।
তদন্তে নেমে দিল্লি থেকে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, দিল্লি থেকে ফরিদাবাদের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অন্তত আটটি এটিএম থেকে টাকা চুরি করেছেন তাঁরা। আর চুরির পদ্ধতিটিও ছিল অভিনব। এটিএম মেশিনে কার্ড ঢোকানোর জায়গায় মাখিয়ে রাখা হত শক্তিশালী আঠা ‘ফেভিকুইক’। এর পর যখনই কোনও গ্রাহক ওই মেশিনটি ব্যবহার করতে নিজের কার্ড মেশিনে প্রবেশ করাতেন, তাঁদের কার্ডটি মেশিনেই আটকে যেত। গ্রাহকের এটিএম কার্ডের ‘পিন’টি লক্ষ্য করার জন্য এটিএমের ভিতরে দাঁড়িয়ে থাকতেন গ্যাংয়ের এক সদস্য। সে-ই গ্রাহককে পরামর্শ দিত, দেওয়ালে লেখা গ্রাহক পরিষেবা নম্বরে ফোন করলে কার্ডটি তাঁর ব্যাঙ্কের শাখায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। গ্রাহক আশ্বস্ত হয়ে বেরিয়ে যেতেই তাঁর কার্ড থেকে তুলে নেওয়া হত নগদ টাকা। এর পর সেখান থেকে চম্পট দিতেন অভিযুক্তেরা। বেরিয়ে পড়তেন নতুন ‘শিকার’-এর খোঁজে।
পুলিশ জানিয়েছে, তিন ধৃতের নাম রাহুল কুমার সিংহ (৩১), গৌরব কুমার (৩৩) এবং দীপক পটেল (৩১)। এঁদের মধ্যে ‘নাটের গুরু’ ছিলেন রাহুলই। পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগেও তাঁর একই ধরণের অপরাধের ‘ইতিহাস’ রয়েছে। গুজরাত, দমন এবং উত্তরপ্রদেশে একাধিক অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার জন্য ২০১১ সালে পূর্ব দিল্লির জগৎপুরী থেকে গ্রেফতার হন রাহুল। তিন অভিযুক্তের থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন এবং একটি সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ‘ফেভিকুইক’এর টিউবও!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy