আবু ধাবির জেলে বন্দি মেয়ে। শিশু-মৃত্যুতে তাঁর গাফিলতির অভিযোগে আবু ধাবির আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। সেই সাজার কথা শুনে উত্তরপ্রদেশে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ওই মহিলার বাবা সাবির খান। এ বার তিনি দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। সাবিরের আবেদন, তাঁর মেয়ের বর্তমান আইনি অবস্থা এবং সুস্থতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য যেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
শাহজাদি খান উত্তরপ্রদেশের বান্দায় গয়রা মুলগি গ্রামের বাসিন্দা। ছোটবেলায় রান্নাঘরে কাজ করতে গিয়ে মুখ, শরীরের অংশ পুড়ে গিয়েছিল। ২০২০ সালে সমাজমাধ্যমে আগরার যুবক উজ়েরের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল শাহজাদির। অভিযোগ, তাঁকে বিয়ে করে চিকিৎসা করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ভাল করে রাখবেন বলেও দাবি করেছিলেন। ২০২১ সালে শাহজাদি উজ়েরের সঙ্গে আগরা পালিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগরায় এক দম্পতির কাছে শাহজাদিকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন উজ়ের। ২০২১ সালে ওই দম্পতি শাহজাদিকে আবু ধাবি নিয়ে গিয়েছিলেন।
আবু ধাবিতে গিয়ে ওই দম্পতির চার মাসের সন্তানকে দেখভালের দায়িত্ব ছিল শাহজাদির। শিশুটির হঠাৎই মৃত্যু হয়। দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে আবু ধাবি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। আদালত তাঁকে ফাঁসির সাজা দেয়। তার পরেই মেয়েকে বাঁচাতে প্রশাসনের দোরে দোরে আবেদন করেন সাবির। কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের দাবিও জানান। গত বছর তিনি এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপেরও আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন:
শাহজাদির মৃত্যুদণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে ভারত সরকার। আরব আমিরশাহির ভারতীয় দূতাবাস জানায়, ‘রিভিউ পিটিশন’ দাখিল করা হয়েছে। তার পর থেকেই ৩৩ বছরের শাহজাদির ফাঁসির বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। এ বার এই ঘটনায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের হস্তক্ষেপের দাবি জানালেন শাহজাদির বাবা।