‘কেন্দ্রের থেকে কোনও সাহায্য পাচ্ছি না’, এমনই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত শাহজ়াদির বাবা সাবির খান। সোমবার দিল্লি হাই কোর্টে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। মেয়ে কী অবস্থায় রয়েছে, তা কেন্দ্রের কাছে বার বার জানতে চেয়েও কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে দাবি সাবিরের। উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলায় থাকতেন ওই মহিলা। একটি মামলায় আবু ধাবির আদালত তাঁকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে। ঘটনায় ইতিমধ্যে হস্তক্ষেপ করেছে ভারত সরকারও। শাস্তি ঘোষণার পরে ‘রিভিউ পিটিশন’ দাখিল করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন বাবা। এই অবস্থায় দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছেন তিনি। মেয়ে কী অবস্থায় রয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন তিনি।
সাবিরের দাবি, তাঁর মেয়ের পরিস্থিতি নিয়ে ‘গভীর অনিশ্চয়তা’ তৈরি হয়েছিল। মেয়ে কী অবস্থায় রয়েছে তা স্পষ্ট হওয়ার জন্য বিদেশ মন্ত্রকে বার বার আবেদন করেছেন তিনি। তবে পুরোটাই ‘নিষ্ফলা’ বলে দাবি শাহজ়াদির বাবার। তাঁর আরও অভিযোগ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আদালতে শাহজ়াদি পর্যাপ্ত আইনি সহায়তা পাননি। ‘দোষ কবুল’ করার জন্য মেয়েকে চাপ দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, এই সবের কারণেই শাহজ়াদিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শাহজ়াদির মামলা বর্তমান কী অবস্থায় রয়েছে তা জানতে চেয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারিও বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানান মহিলার বাবা। মেয়ে কি বেঁচে আছে, না কি ফাঁসি দেওয়া হয়ে গিয়েছে, তা-ও কেন্দ্রের থেকে জানতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই আবেদনের পরেও কোনও লাভ না-হওয়ায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পাওয়া তথ্য অনুসারে, শাহজ়াদিকে আবু ধাবির আল ওয়াথবা জেলে রাখা হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরশাহিতে ভারতীয় দূতাবাস জানায়, শাহজ়াদির ফাঁসির সাজার পরে ‘রিভিউ পিটিশন’ দাখিল করা হয়েছে। তাঁর ফাঁসির বিষয়টি আপাতত বিবেচনাধীন রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের শাহজ়াদিকে ২০২১ সালে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। আবু ধাবিতে গিয়ে এক দম্পতির চার মাসের সন্তানকে দেখভালের দায়িত্ব ছিল তাঁর। শিশুটির হঠাৎই মৃত্যু হয়। ওই দম্পতি শাহজাদির বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেন। এর পরে তদন্ত করে আবু ধাবি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে সেখানকার আদালত তাঁকে ফাঁসির সাজা দেয়।