এই পোর্শে গাড়ি দিয়েই ইঞ্জিনিয়ারদের চাপা দেওয়ার অভিযোগ উটেছে। ছবি: সংগৃহীত।
পুণেয় পোর্শে দিয়ে চাপা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত কিশোরের বাবা বিশাল আগরওয়ালকে। মঙ্গলবার তাঁকে মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুণে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, ইমারাতি ব্যবসায়ী বিশালের নাবালক পুত্রের বিরুদ্ধে ওই পোর্শে গাড়ি দিয়েই দুই ইঞ্জিনিয়ারকে চাপা দিয়ে ‘খুন’ করার অভিযোগ উঠেছে। যে গাড়ি দিয়ে দুই ইঞ্জিনিয়ারকে চাপা দেওয়া হয়েছে, সেই গাড়ির মালিক ওই ইমারতি ব্যবসায়ী।
পুলিশ জানিয়েছে, শুধু বিশালই নন, এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দু’টি বারের মালিককেও। অভিযোগ, ঘটনার দিন ওই নাবালককে মদ সরবরাহ করা হয়েছিল ওই দুই বার থেকে। পুণের অপরাধ দমন শাখা এই মামলাটি দেখছে। অভিযুক্ত কিশোরকে নিম্ন আদালত ঘটনার ১৪ ঘণ্টার মধ্যেই কয়েকটি শর্তে জামিন দিয়ে দেয়। আদালত জানায়, আগামী ১৫ দিন ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করতে হবে অভিযুক্ত কিশোরকে। শুধু তা-ই নয়, সড়ক দুর্ঘটনা এবং তার ফলাফল সম্পর্কে ৩০০ শব্দের নিবন্ধও লিখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু নিম্ন আদালত অভিযুক্ত কিশোরকে জামিন দেওয়ায় পুলিশ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তারা আদালতে আর্জি জানিয়েছে, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবেই কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমতি দেওয়া হোক তাদের। পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত খুন) এবং ট্র্যাফিক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। কিশোরের বাবা বিশালের বিরুদ্ধেও জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টে ৭৫ এবং ৭৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে পোর্শে গাড়িটি দিয়ে দুই ইঞ্জিনিয়ারকে চাপা দিয়ে ‘খুন’ করা হয়েছে, সেই গাড়িটির কোনও রেজিস্ট্রেশনই ছিল না। আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর (আরটিও) সূত্রে জানানো হয়েছে, বেঙ্গালুরুর এক গাড়ি ডিলারের মাধ্যমে পোর্শে গাড়িটি কেনেন বিশাল। মার্চে গাড়িটি কেনা হয়েছিল। কিন্তু কোনও রকম রেজিস্ট্রেশন করানো হয়নি গাড়িটির। গাড়ির মালিক আরটিওতে এসেছিলেন, কিন্তু গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি না দেওয়ায় কোনও নম্বরপ্লেটও দেওয়া হয়নি। ফলে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই গাড়িটি মার্চ মাস থেকে রাস্তায় চলছিল। এক সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি করেছেন আরটিও অফিসার সঞ্জীব ভর।
পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন, দ্বাদশ পরীক্ষার ফল ভাল হওয়ায় সেটি উদ্যাপন করতে পোর্শে নিয়ে বেরিয়েছিল কিশোর। স্থানীয় বারে গিয়েছিল। সেখানে মদ্যপান করে। তার পর রাস্তা ধরে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে পোর্শে চালাচ্ছিল। কল্যাণী নগর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই ইঞ্জিনিয়ারের বাইকে ধাক্কা মেরে পিষে দেয়। মৃত দুই ইঞ্জিনিয়ার হলেন অনীশ অবধিয়া এবং অশ্বিনী কোষ্টা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy