Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Farooq Abdullah

ওমর সরকারকে ফেলে দিতেই জঙ্গি হামলা: ফারুক

গত কয়েক মাস ধরে জঙ্গি হামলার সাক্ষী থেকেছে উপত্যকা। বিশেষ করে গত মাসে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে জঙ্গি হামলা বাড়ছে। গতকালই বদগামে উত্তরপ্রদেশ থেকে কাজ করতে আসা দুই শ্রমিকের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা।

ফারুক আবদুল্লা।

ফারুক আবদুল্লা। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:১৩
Share: Save:

ন্যাশনাল কনফারেন্সের সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য জম্মু ও কাশ্মীরে ধারাবাহিক ভাবে জঙ্গি হামলা করানো হচ্ছে বলে আজ অভিযোগ করলেন ওই দলের বর্ষীয়ান নেতা ফারুক আবদুল্লা। হামলার পিছনে মূল চক্রীদের খুঁজে বার করতে হামলাকারী জঙ্গিদের হত্যা না করে গ্রেফতার করার সওয়াল করেন তিনি। তার সূত্র ধরে বিতর্কও শুরু হয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরে জঙ্গি হামলার সাক্ষী থেকেছে উপত্যকা। বিশেষ করে গত মাসে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে জঙ্গি হামলা বাড়ছে। গতকালই বদগামে উত্তরপ্রদেশ থেকে কাজ করতে আসা দুই শ্রমিকের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। আজ সেই প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, যে ভাবে জঙ্গি হামলার ঘটনা বেড়ে চলেছে, তা দেখে মনে হচ্ছে পরিকল্পিত ভাবে সদ্য নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছে। ফারুকের কথায়, ‘‘কেন এত হামলা হচ্ছে, তার তদন্ত হওয়া উচিত। যদি জঙ্গিদের গ্রেফতার করা যায়, তা হলে জানা যাবে এদের পিছনে কারা রয়েছে। তা হলে বোঝা যাবে ওমর সরকারকে ফেলার জন্য কোনও এজেন্সি সক্রিয় রয়েছে কি না।’’ কেন্দ্রীয় সরকার এই জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে মনে করলেও, ফারুকের বক্তব্য ‘‘পাকিস্তানকে দায়ী করার প্রশ্ন নেই। আমি কেবল বলতে চাই, বিষয়টির বিস্তারিত তদন্ত হওয়া উচিত।’’

ফারুকের ওই দাবিকে সমর্থন করেছেন মহারাষ্ট্রের এনসিপি দলের নেতা শরদ পওয়ার। তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমান সময়ে জম্মু-কাশ্মীরের অন্যতম প্রবীণ নেতা ফারুক। যখন তিনি এ ধরনের মন্তব্য করছেন, তখন কেন্দ্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।’’

এ দিকে ফারুকের মন্তব্যে জঙ্গিদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের রাজ্যসভা সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদীর কথায়, ‘‘কেন্দ্র বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। যদি ফারুকের কোনও সন্দেহ হয়, বা তাঁর কাছে কোনও ধরনের তথ্য থাকে, তাঁর উচিত বিষয়টি কেন্দ্র বা উপরাজ্যপালকে জানানো। ফারুক এখন সরকার পড়ে যাওয়ার কথা বলছেন, অথচ ভোটের আগে ক্ষমতায় আসতে সেই সব (বিভাজনকারী) শক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিলেন তিনি ও তাঁর দল। তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার কথা বলেছিলেন। এখন হয়তো সেই শক্তি উল্টো চাপ দিচ্ছে। তাই এখন এ ধরনের কথাবলছেন ফারুক।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE