দিল্লিতে প্রতিবাদস্থলে এক কৃষক। ছবি: পিটিআই
শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের প্রস্তাবে রাজি হলেন কৃষকরা। আপাতত ২৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার তাঁরা কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে রাজি হয়েছেন। বিক্ষুব্ধ কৃষকদের অনেকেরই আশা, এ বার হয়তো দিল্লির উপকণ্ঠে চলা বিক্ষোভের একটা সমাধান সূত্র বের হতে পারে।
সিংঘু সীমান্তে শনিবার বেলা ৩টের একটু পরে বিভিন্ন কৃষক ইউনিয়নের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই সরকারের সঙ্গে আলোচনা ও আন্দোলনের পরবর্তী গতিপথ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন কৃষকরা। তারপরেই সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে আগামী মঙ্গলবার, অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর তাঁরা লিখিতভাবে আলোচনার প্রস্তাব দিতে চলেছেন। বিক্ষোভরত সব কৃষক সংগঠনই এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
তবে কৃষকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই আলোচনার মূল আলোচ্য বিষয় হিসাবে রাখতে হবে ৩টি কৃষি আইনের প্রত্যাহারের শর্ত। শুক্রবারই দিল্লিতে চলা কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, বিরোধীরা মিথ্যা ছড়াচ্ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে কৃষকদের। পাশাপাশি শুক্রবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ আবেদন করে বলেন, ‘‘এক-দু’বছরের জন্য অন্তত কৃষি আইনকে কার্যকর করতে দিয়ে দেখুন আপনারা। তারপর যদি দেখা যায় আইন কৃষক স্বার্থ বিরোধী, তাহলে সেটি নিয়ে আলোচনা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আগে আইনটি প্রয়োগ করতে দিন।’’
We propose to hold another round of talks with the Centre at 11 am on 29th December: Yogendra Yadav, Swaraj India#FarmLaws pic.twitter.com/BEAG9pkzP3
— ANI (@ANI) December 26, 2020
যদিও এত কথার পরেও শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড়ই রয়েছেন কৃষকরা। কোনও সংশোধন নয়, তাঁরা চাইছেন সম্পূর্ণ নয়া কৃষি আইনের প্রত্যাহার। তাই বিক্ষুব্ধ কৃষকদের একাংশ যতই সামনের মঙ্গলবারের বৈঠককে ‘ইতিবাচক’ হিসাবে ভাবতে চান না কেন, বাস্তবে সেখানে রফাসূত্র মিলবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘জোর করে’ ধর্মান্তরণে ১০ বছরের জেল চায় মধ্যপ্রদেশ
আরও পড়ুন:কেন্দ্রের প্রস্তাবে সাড়া? কৃষক সংগঠনগুলির বৈঠক আজ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy