—ফাইল চিত্র।
আন্দোলনের বধ্যভূমিতে প্রাণ গেল আরও দুই কৃষকের। সোমবার ভোররাতে রাতে দিল্লি-হরিয়ানার সংযোগস্থল টিকরি সীমানায় পঞ্জাবের এক কৃষকের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে ওই একই এলাকা থেকে আরও এক কৃষকের দেহ উদ্ধার হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রথম জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রচণ্ড ঠান্ডায় একটানা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ফলে দ্বিতীয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর ধারণা পুলিশের।
মৃতদের মধ্যে প্রথম জনকে ৪৮ বছরের মেওয়া সিংহ বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। পঞ্জাবের মোগা জেলার খোটে গ্রামের বাসিন্দা তিনি। গত ২৬ নভেম্বর টিকরি সীমানায় আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। হাজার হাজার কৃষকের সঙ্গে পুলিশের জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাসের মোকাবিলা করে এত দিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সোমবার রাতে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
গ্রামের বাড়িতে ইতিমধ্যেই মেওয়ার মৃত্যুর খবর পৌঁছেছে। সহযোদ্ধার মৃত্যু বুকে নিয়েই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বাকি কৃষকরা। তা নিয়ে শোকপালনের সময়টুকুও পাননি তাঁরা। তার আগেই এ দিন সকালে ফের তাঁদের নাড়িয়ে দেয় ৩২ বছরের অজয় মুরের মৃত্যু। আদতে হরিয়ানার সোনিপতের বাসিন্দা অজয় গত কয়েক দিন ধরেই সেখানে অবস্থান বিক্ষোভের অংশ ছিলেন। রাতে স্থানীয় একটি পার্কে শুতেন তিনি। এ দিন সকালে সেখানে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে।
আরও পড়ুন: অমিত শাহের পুলিশের হাতে কি গৃহবন্দি কৃষক সমব্যথী কেজরী
আরও পড়ুন: বন্ধের প্রভাব এ রাজ্যেও, জায়গায় জায়গায় রেল ও সড়ক অবরোধ
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় হরিয়ানা পুলিশের একটি দল। অজয়ের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রচণ্ড ঠান্ডার জন্যই মৃত্যু হয়েছে অজয়ের। এর আগে, গত বুধবার এই টিকরি সীমানাতেই ৬০ বছর বয়সি এক কৃষকের মৃত্যু হয়। তার আগে ১ ডিসেম্বর বিক্ষোভ থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বলজিন্দর সিংহ নামের আর এক কৃষকের। প্রায় দু’সপ্তাহব্যাপী এই আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৯ জন কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy