ফাইল চিত্র।
দিল্লির কৃষক আন্দোলনে হিংসার ঘটনায় পাঁচটি রাজ্যে মোট ৩৮টি মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ৮৪ জন। দিল্লি পুলিশের হাতে সে দিনের ঘটনার ১৭ হাজারেরও বেশই ভিডিয়ো ক্লিপ এবং ফুটেজ এসেছে। সে সব খতিয়ে দেখার শুরু করেছে তারা। সাধারণ মানুষ এবং সাংবাদিকদের কাছেও ভিডিয়ো ফুটেজ চেয়েছে পুলিশ যাতে সে দিনের ঘটনার তদন্তে অগ্রগতি হয়।
দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) বি কে সিংহ বলেছেন, “ভিডিয়ো ক্লিপগুলো খতিয়ে দেখার জন্য ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটি-র একটি বিশেষ দলকে ডাকা হয়েছে।” শুধু তাই নয় ঘটনার দিন হিংসাস্থল থেকে কোন কোন মোবাইল নম্বর থেকে ওই সময় ফোনে কথোপকথন হয়েছে তারও তথ্য জোগাড় করছে পুলিশ। যুগ্ম কমিশনার আরও জানান, ওই দিন যে সব গাড়ি বা ট্র্যাক্টর দিল্লিতে ঢুকেছিল, বিশেষ করে লালকেল্লা এলাকায়, সেই গাড়িগুলোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর জোগাড় করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই গাড়ির মালিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হবে।
গত ২৬ জানুয়ারি কৃষক আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দিল্লির বহু এলাকা। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। ট্র্যাক্টর উল্টে এক কৃষকের মৃত্যুও হয়েছে। হিংসার ঘটনায় এমনিতেই তেতে গোটা রাজধানী, তার উপর কৃষক মৃত্যুর ঘটনা সেই উত্তাপ আরও বাড়িয়েছে। পুলিশের গুলিতে ওই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর দাবি করে, ট্র্যাক্টর দুর্ঘটনায় ওই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
কৃষকের মৃত্যু নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর এবং বেশ কয়কে জন শীর্ষ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ এবং দিল্লিতে এই অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে তারুর এবং ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কৃষকদের হিংসায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে চারটি আলাদা মামলা রুজু হয়েছে। কর্নাটকে রাকেশ শেট্টি নামে এক সমাজকর্মী তারুর এবং ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ষড়যন্ত্র এবং বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে মামলা রুজু করেছেন। গুরুগ্রামে একই অভিযোগ মামলা রুজু হয়েছে। নয়ডাতেও মামলা রুজু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy