সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
একসঙ্গে পরিবারের পাঁচ সদস্যেরই মৃত্যু চাইছেন এক দম্পতি। তাই এ বার সুপ্রিম কোর্ট এবং হাই কোর্টে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কেরলের কোট্টায়াম জেলার ওই পরিবার।
কোট্টায়ামের কোঝুভানাল এলাকার বাসিন্দা স্মিতা অ্যান্টনি এবং মোনু জোসেফের কাছে আর কোনও পথ খোলা নেই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন স্মিতা। তিন সন্তান তাঁদের। তাদের মধ্যে ছোট দুই সন্তান ভুগছে জন্মগত বিরল জিনঘটিত রোগে। রোগটির নাম ‘সল্ট ওয়েস্টিং কনজেনিটাল অ্যাড্রেনাল হাইপারপ্লাজ়িয়া’ (এসডব্লিইসিএএইচ)। বিগত কয়েক বছরে দুই সন্তানের এই রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন স্মিতা এবং জোসেফ। বিক্রি করেছেন নিজেদের জমি থেকে শুরু করে পারিবারিক কিছু সম্পত্তিও। কিন্তু তাঁদের সন্তানদের সেরে ওঠার কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি চিকিৎসকেরা। সাক্ষাৎকারে স্মিতা বলেছেন, ‘‘এখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, রোজের খাবার জোগানোর টাকাটুকুও আমাদের নেই। বড় সন্তানের পড়াশোনাও অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় পাঁচ জনের স্বেচ্ছামৃত্যু ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা আমাদের সামনে খোলা নেই। তাই সুপ্রিম কোর্ট এবং হাই কোর্টে সেই আর্জিই জানাব বলে স্থির করেছি। যাতে আদালত আমাদের মরতে অনুমতি দেয়।’’
ওই দম্পতি পেশায় দু’জনেই নার্স। কিন্তু দুই অসুস্থ সন্তানের দেখভালের জন্য দীর্ঘদিন তাঁরা কাজে বেরোতে পারেন না। ফলে রোজগারের রাস্তাও বন্ধ। কিছু দিন আগে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে তাঁদের অবস্থার কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেই মতো স্মিতার জন্য একটি চাকরির ব্যবস্থাও করে পঞ্চায়েত কমিটি। কিন্তু পঞ্চায়েত সচিব সময় মতো সরকারের কাছে সেই সংক্রান্ত চিঠি দিতে পারেননি বলে চাকরিটি স্মিতা পাননি। পরে কিছু মানবাধিকার সংগঠন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে সরকারের কাছে সচিব সেই চিঠি পাঠান। তবে এখনও পর্যন্ত সদর্থক কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্মিতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy