কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের এখন যেখানে বন্দি রাখা হয়েছে, সেই এমএলএ হস্টেলের হাল খুবই খারাপ বলে অভিযোগ আনলেন তাঁদের আত্মীয়-বন্ধুরা।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়ক ও মূল স্রোতের রাজনৈতিক নেতাদের ৫ অগস্ট থেকে বন্দি করে রাখা হয়েছে জন নিরাপত্তার যুক্তি দেখিয়ে। রবিবার তাঁদের এমএলএ হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নেওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় তাঁদের। ওঠে মারধরের অভিযোগও। নতুন একপ্রস্ত সমালোচনা শুরু হয় প্রশাসনের। এ বার বন্দি নেতাদের সঙ্গে দেখা করে এসে আত্মীয়-বন্ধুরা জানাচ্ছেন, এমএলএ হস্টেলে কাউকে রাখার মতো অবস্থা নেই। দিনরাত সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ঘর ও অন্য ব্যবস্থাপনা বেশ খারাপ। তীব্র ঠান্ডা পড়েছে উপত্যকায়। বন্দি নেতারা ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছেন বলেও উদ্বেগ জানান অনেকে।
এমএলএ হস্টেলে রাজনৈতিক কর্মীদের ভিড় ও প্রতিবাদের আশঙ্কায় কাউকেই দেখা করতে দেওয়া হচ্ছিল না। পরে স্থির হয়েছে, আত্মীয়-বন্ধুরা সপ্তাহে দু’দিন, বুধ ও শনিবার দেখা করতে পারবেন। সেই অনুযায়ী বুধবার হস্টেলের পরিস্থিতি দেখে আসার পরে অনেকেই ক্ষোভ জানাচ্ছেন। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মন্ত্রী নইম আখতারের মেয়ে সেরিয়ার খানুমের কথায়, ‘‘ঘনঘন বিদ্যুৎ যাচ্ছে। ঘরের অবস্থা খুবই খারাপ। ওখানে কাউকে রাখা যায় না।’’
পিডিপির যুব সভাপতি ওয়াহিদ পারা সম্পর্কে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এক সময় বলতেন, এঁর মতো নেতাই উপত্যকায় গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখবেন। সেই ওয়াহিদকে দেখে এসে তাঁর ভাই নাদিম বললেন, ‘‘দিন কয়েকের জন্যও ওখানে কাউকে রাখার কথা ভাবা যায় না।’’ প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী, মেহবুবা মুফতিকে চশমাশাহি থেকে সরিয়ে এমএ রোডের সরকারি আবাসে ও ওমর আবদুল্লাকে হরি নিবাসে রাখা হয়। সাংসদ ফারুক আবদুল্লা গৃহবন্দি রয়েছেন। এই তিন জনের অবশ্য এতটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না।