‘স্পেশ্যাল ২৬’ ছবি দৃশ্যে অনুপম খের, অক্ষয় কুমারেরা। ছবি: সংগৃহীত।
ঠিক যেন অক্ষয় কুমারের ‘স্পেশ্যাল ২৬’ ছবির চিত্রনাট্য। সকালে আচমকাই বাড়ির দরজায় ধাক্কা। দরজা খুলে দেখেন দাঁড়িয়ে ছ’জন অপরিচিত ব্যক্তি। নিজেদের ইডি অফিসার হিসাবে পরিচয় দেন সকলে। দেখান পরিচয়পত্রও! তার পর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান। তল্লাশি শেষে ৩০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে বাড়ি ছাড়েন ছ’জন। পরে জানা যায়, তাঁরা কেউই আসল ইডি অফিসার নন। ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত চালিয়েছেন প্রতারকেরা। ভুক্তভোগী এক জন বিড়ি ব্যবসায়ী।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ জানুয়ারি মেঙ্গালুরু সিঙ্গারি বিড়ি ওয়ার্কস নামে এক কোম্পানির মালিক হাজি এন সুলেমানের বাড়িতে এক দল লোক হানা দেন। তাঁরা সুলেমানকে জানান, বাড়ি তল্লাশি করবেন। তল্লাশি পরোয়ানাও দেখান সকলকে। তার পর বাড়িতে প্রবেশ করেই সকলের ফোন বাজেয়াপ্ত করে নেন।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারকেরা সুলেমানকে তাঁর ঘর দেখাতে বলেন। তখন তাঁর বাড়িতে ছিল নগদ ৩০ লক্ষ নগদ টাকা। বাড়িতে কেন নগদ রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্ন করেন প্রতারকেরা। তার পরই সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যান। জানিয়ে যান, ওই টাকা কোথা থেকে এল, তার নথি দেখিয়ে ফেরত নিতে হবে। বেঙ্গালুরুর ইডি অফিস থেকেই বাজেয়াপ্ত টাকা নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সুলেমানদের বাড়িতে ছিলেন ভুয়ো ইডি আধিকারিকেরা। তল্লাশি অভিযানের সময় বাড়ির সামনে এবং পিছনের দরজা বন্ধ করে রাখেন তাঁরা। বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয় না।
শুধু নগদ নয়, কিছু সোনার গয়নাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি সুলেমানের। পরে তিনি ইডি অফিসে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, তাদের কোনও আধিকারিক অভিযানে যাননি। তখনই পুলিশের দ্বারস্থ হন সুলেমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy