—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এমসের চিকিৎসকের পরিচয়ে ওড়িশার গঞ্জাম জেলার এক শহরে ক্লিনিক খুলেছিলেন। তবে সম্প্রতি এক রোগিণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে জানা যায়, ওই ‘চিকিৎসকের’ প্রথাগত পড়াশোনার দৌড় আসলে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। এর পর তাঁর ক্লিনিকে ‘স্টিং অপারেশন’ চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো চিকিৎসককে। সোমবার এমনই দাবি করেছে ওড়িশা পুলিশ। যদিও অভিযুক্তের পাল্টা দাবি, তিনি স্নাতকোত্তরে ডিগ্রিধারী। এবং ওষুধপত্রের বিষয়েও ভালই জ্ঞান রয়েছে।
ওড়িশা পুলিশ জানিয়েছে, গঞ্জামের বহ্মপুর শহরে গত ছ’মাস ধরে ক্লিনিক চালাচ্ছেন অভিযুক্ত শুভ্রজিৎ পণ্ডা। বছরখানেক ধরে কটকের রানিহাট এলাকায় আরও একটি ক্লিনিক রয়েছে তাঁর। নিজেকে নয়াদিল্লি এবং ভুবনেশ্বরের এমসের চিকিৎসক হিসাবে পরিচয় দেন তিনি। শুভ্রজিতের বিরুদ্ধে দিগপহণ্ডী থানায় অভিযোগ করেছেন এক মহিলা। ওই রোগিণীর দাবি, শুভ্রজিতের দেওয়া ওষুধ খেয়ে তাঁর কিডনির সমস্যা দেখা দিয়েছে। সে জন্য ভুবনেশ্বরের গিয়ে তাঁকে ডায়ালিসিসও করাতে হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই অভিযোগের তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে যে ওই চিকিৎসকের ডিগ্রি ভুয়ো। ওষুধ সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করতেন অভিযুক্ত। এমনকি, ২০২০ সালে তেলঙ্গানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সে সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সদস্য হিসাবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসকদের একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সে জন্য হায়দরাবাদের জেলে থাকতে হয়েছিল তাঁকে।
ব্রহ্মপুর শহরের পুলিশ সুপার সর্বণ বিবেক এম সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘‘গত ছ’মাস ধরে গঞ্জাম জেলায় একটি ক্লিনিক চালাচ্ছেন অভিযুক্ত। সেখানে মাসে এক বার করে বসতেন তিনি। এ ছাড়া, গত এক বছর ধরে কটকের একটি ক্নিনিকে কাজ করতেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গঞ্জাম জেলায় ক্লিনিকে স্টিং অপারেশন চালায় দিগপহণ্ডী থানার পুলিশ। সেখানেই হাতেনাতে ধরা হয় অভিযুক্তকে। তাঁর সমস্ত শিক্ষাগত শংসাপত্র ভুয়ো। এর আগে হায়দরাবাদের জেলে ১৫ দিন ছিলেন তিনি। জামিন পেয়েও সে মামলাটি বিচারাধীন। অভিযুক্তের ক্নিনিক থেকে মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, ওষুধপত্র এবং তাঁর গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’’ যদিও শুভ্রজিতের পাল্টা দাবি, স্নাতকোত্তরে মাইক্রোবায়োলজির ডিগ্রি রয়েছে তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy