হে রাম, হে সীতা আপনারা কোথায়? অযোধ্যায় এই দিনও দেখতে হল? কপাল চাপড়ে সাংবাদিক সম্মেলনে হাউ হাউ করে কান্নাকাটি জুড়ে দিলেন ফৈজ়াবাদে সমাজবাদী পার্টির (এসপি) সাংসদ অবধেশ প্রসাদ। কান্নার কারণ? অযোধ্যা নগরীতে দলিত তরুণীর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা। সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন সাংসদ। আর সেখানেই এই প্রসঙ্গ তুলে কাঁদতে শুরু করেন। তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন দলেরই এক নেতা।
অবধেশের সংসদীয় এলাকায় পড়ে অযোধ্যা। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে দিল্লি যেতে দিন। লোকসভায় বিষয়টি (প্রধানমন্ত্রী) মোদীর সামনে উত্থাপন করব। যদি বিচার না পাই, তা হলে সাংসদ পদ ছেড়ে দেব। ঘরের মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ আমরা। অযোধ্যায় এ দিনও দেখতে হল!’’ এ কথা বলেই কাঁদতে শুরু করে দেন সাংসদ অবধেশ।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি মিল্কপুর বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। অবধেশ ফৈজ়াবাদের সাংসদ হওয়ার পর এই বিধানসভা আসন শূন্য হয়ে যায়। এই আসনে জেতার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে সমাজবাদী পার্টি এবং বিজেপি দু’পক্ষই। নির্বাচনের আগেই অযোধ্যায় দলিত তরুণীর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় রাজনীতির উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। অযোধ্যানগরীতে এমন ঘটনা অভিপ্রেত নয়, এই দাবি তুলে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে এসপি।
শনিবার অযোধ্যার একটি খাল থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। বৃহস্পতিবার রাতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তারা ফিরিয়ে দেয় বলেও দাবি তরুণীর পরিবারের। স্থানীয় সূত্রে খবর, তরুণীর নগ্ন দেহ উদ্ধার হয় খাল থেকে। তাঁর চোখ তুলে নেওয়া হয়েছিল। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। হাত-পা বাঁধা ছিল। সার্কল অফিসার আশুতোষ তিওয়ারি জানান, শুক্রবার একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল তরুণীর পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ।