মহম্মদ জুবেইর এবং প্রতীক সিন্হা। ফাইল চিত্র।
২০২২ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার লড়াইয়ে আছেন ফ্যাক্ট-চেক বা সত্য অনুসন্ধানমূলক খবরের ওয়েবসাইট ‘অল্ট নিউজ’-এর দুই প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেইর এবং প্রতীক সিন্হাও। টাইম ম্যাগাজিনের সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
টাইম ম্যাগাজিন সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বারের সম্ভাব্য নোবেল প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের এই দুই সাংবাদিক। প্রতি বছরই নোবেল শান্তি বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে নরওয়ের ‘পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অসলো’। তাদের কাছে নাম প্রস্তাব করে পাঠায় বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান। জুবেইর এবং সিন্হা যে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার লড়াইতে আছেন, সে খবর পাওয়া গিয়েছে নরওয়ের আইনসভার সদস্যদের তরফে।
এ বছর ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে প্রায় ৩৪৩টি নাম নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার লড়াইয়ে রয়েছে। নোবেল কমিটির তরফে অবশ্য কখনও সম্ভাব্য নোবেল প্রাপকদের নাম প্রকাশ্যে আনা হয় না। কিন্তু সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার লড়াইয়ে জুবেইর, প্রতীক ছাড়াও রয়েছেন ঘোষক ডেভিড অ্যাটেনবরো, পরিবেশ নিয়ে আন্দোলন করে সাড়া ফেলে দেওয়া গ্রেটা থুনবার্গ, পোপ ফ্রান্সিস, টুভালুর বিদেশমন্ত্রী সাইমন কোফে, এনমকি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কিও। আগামী ৭ অক্টোবর নরওয়ের স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপকের নাম ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসেই ২০১৮ সালের টুইটের মাধ্যমে প্ররোচনা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। জুবেইরের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ তোলা হয়। তাঁকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে সরব হয় দেশ বিদেশর বহু সংগঠন। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আমেরিকার একটি অলাভজনক সংগঠন বিবৃতি প্রকাশ করে বলে, “ভারতে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ক্রমশ কমে আসছে। ধর্মীয় কারণে সরকার সাংবাদিকদের সামনে এমন পরিবেশ তৈরি করছে, যা তাঁদের জন্য ভীষণ অস্বস্তিকর এবং অসুরক্ষিত।” এক মাস তিহাড় জেলে বন্দি থাকার পর দেশের শীর্ষ আদালত জুবেইরকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy