প্রতীকী ছবি।
টাকার প্রয়োজন ছিল খুব। বেশি সুদে হলেও দ্রুত ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাওয়া গিয়েছিল একটি অ্যাপে। টাকাও পাওয়া গেল দ্রুত। কিন্তু তার পর থেকেই শুরু হল বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন আসা। ঋণগ্রহীতার ছবি বদলে অশ্লীল ছবি তৈরি করে তা ছড়ানোর হুমকি দেওয়া হত সে সব ফোনে। চাওয়া হত টাকা।
দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা এমন সব অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে শেষ পর্যন্ত এক চক্রের হদিস মিলেছে বলে দাবি দিল্লি পুলিশের। এই মামলায় দুই মহিলা-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। তাদের দাবি, এই চক্রের পিছনে রয়েছে কয়েক জন চিনা নাগরিক। ধৃতেরা তাদের হয়েই কাজ করত। হুমকি দিয়ে আদায় করা টাকা হাওয়ালা ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে পাঠানো হত চিনে।
দিল্লি পুলিশের ইনটেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশনস শাখা জানিয়েছে, এই চক্র ১০০টি অ্যাপ ব্যবহার করত। কেউ ওই সব অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ চাইলেই তাঁর মোবাইল বা কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার অনুমতি চাইত অ্যাপটি। তার পরেই ঋণগ্রহীতার ফোন নম্বর, তাঁর ফোনের ‘কন্ট্যাক্ট লিস্ট’-এ থাকা ব্যক্তিদের নাম-নম্বর, চ্যাট, মেসেজ, ছবিই সবই চলে যেত চিন ও হংকংয়ের কয়েকটি সার্ভারে।
পুলিশের দাবি, ভুয়ো পরিচয়ে ভিন্ন ভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করত এই চক্রীরা। অসংখ্য অ্যাকাউন্টও ছিল তাদের। প্রতিটিতে প্রতিদিন জমা পড়ত প্রায় ১ কোটি টাকা। এই চক্রের জাল ছড়ানো ছিল দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ ও অন্য কয়েকটি রাজ্যে। ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছে, তারা কয়েক জন চিনা নাগরিকের হয়ে কাজ করত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy