আবগারি দফতরের আধিকারিকদের উপর হামলা। — ফাইল ছবি।
বিহারে আবগারি দফতরের কর্মীদের উপর হামলার একাধিক ঘটনা। গত ২৪ ঘণ্টায় এমন অন্তত তিনটি ঘটনার কথা জানা গিয়েছে মুজফ্ফরপুর এবং পূর্ব চম্পারণ জেলা থেকে। বিহারে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ। কিন্তু অভিযোগ, গোটা রাজ্য জুড়েই রমরমিয়ে চলে মদের কালো কারবার।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে মুজফফরপুর জেলায়। কান্তি থানা এলাকার কোঠিয়া গ্রামে বেআইনি মদ বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান চালান আবগারী ও শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। সেখানেই গ্রামবাসীদের একাংশের বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। সরকারি আধিকারিকদের গাড়ির সামনে গাড়ি থামিয়ে দিয়ে চলে ভাঙচুর। মারধর করা হয় আধিকারিকদেরও। একটি গাড়ির চালক গুরুতর আহত।
আবগারি দফতরের কর্তা সঞ্জয়কুমার রাই জানিয়েছেন, এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাতে নাম রয়েছে ৮ জনের। এছাড়াও আরও ৪০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নাম রয়েছে এফআইআরে। সঞ্জয় বলেন, ‘‘কোঠিয়া গ্রামের বাসিন্দা শিবকুমার সাহানির বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে মদ মজুত ও বিক্রির অভিযোগ পেয়ে অভিযান শুরু করি। সেই সময় অন্তত ৫০ জন লাঠি, রড, ইট নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে।’’
বুধবার এই মুজফ্ফরপুরের তুরকি থানা এলাকাতেও একই ভাবে মদ-মাফিয়াদের হামলার মুখে পড়েন সরকারি আবগারি আধিকারিকরা। তবে সেখানে তিন জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ।
মুজফ্ফরপুরের পর পূর্ব চম্পারণ। ওই জেলার রামগড়ওয়া থানার অন্তর্গত রঘুনাথপুর গ্রামে মদ বিক্রির অভিযোগ পেয়ে অভিযানে যান আবগারি আধিকারিকরা। সেখানেও একই ভাবে গ্রামবাসীদের একাংশের হিংস্র প্রতিরোধের মুখে পড়েন আবগারি কর্তারা। যদিও মদ-মাফিয়াদের সংগঠিত হামলার মধ্যেও মদ বিক্রির হোতা গণেশ ঠাকুরকে ধরে ফেলেন আবগারি আধিকারিকরা। যদিও উত্তেজিত গ্রামবাসীরা তাঁকে জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। অভিযোগ, গণেশ নেপাল থেকে দেশি মদ এনে এই এলাকায় বিক্রি করতেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy