—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভারত ও চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) থেকে দু’দেশের সেনা সরানোর প্রক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে। আমেরিকার ম্যাক্সার টেকনোলজির নেওয়া উপগ্রহ চিত্রে স্পষ্ট, ডেপসাং ও ডেমচক এলাকায় বিভিন্ন অস্থায়ী সেনা ছাউনি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে এখনও এই এলাকায় চিনের অস্থায়ী সেনা ছাউনির অস্তিত্ব পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। একটি সূত্রের দাবি, আগামী ২৮-২৯ অক্টোবরের মধ্যে পূর্ব লাদাখের এলএসি-র এই সব অঞ্চলে দু’দেশের সেনা সরানোর কাজ সম্পূর্ণ হবে।
গত সোমবার সাউথ ব্লক দাবি করেছিল, পূর্ব লাদাখের এলএসিতে টহলদারির সীমানা নির্ধারণের প্রশ্নে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তার ভিত্তিতেই ভারত ও চিনের সেনা নিজেদের অবস্থান থেকে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে। তার পর রাশিয়ায় ব্রিকস বৈঠকের সময় এই বিষয় নিয়ে পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে রাজি হন তাঁরা। তার পরেই ডেপসাং ও ডেমচক থেকে সেনা সরানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
সংঘাতের পরিস্থিতিতে ডেপসাং-এ যে বড়সড় অস্থায়ী ছাউনি গড়ে উঠেছিল, শুক্রবার নেওয়া উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছে, সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত ৭ অগস্টে নেওয়া উপগ্রহচিত্রে সেটির অস্তিত্ব ধরা পড়েছিল। আরও দক্ষিণে, ডেমচকেও একই পরিস্থিতি ধরা পড়েছে। গত ৯ অক্টোবর ও ২৫ অক্টোবরের উপগ্রহচিত্রের ফারাক অনেক। দেখা গিয়েছে, সেখানকার অস্থায়ী ছাউনিও তুলে নেওয়া হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, ডেপসাং-এ সেনার অস্থায়ী ছাউনির সামনে বহু গাড়ির অস্তিত্ব আর নেই।
২০২০ সালের এপ্রিল থেকে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় এলএসি পেরিয়ে আসার অভিযোগ ওঠে চিনা সেনার বিরুদ্ধে। গলওয়ানের সংঘর্ষের ঘটনার পরে এই সব এলাকায় সামরিক নির্মাণের অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। এলএসিতে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি বাড়ায় ভারতও। তবে এখন সেখান থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া জোরালো ভাবে শুরু হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আজ ভারতীয় সেনা ও কূটনীতিকদের সামগ্রিক প্রয়াসের প্রশংসা করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পুণেতে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, চিনের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছনো গিয়েছে ঠিকই, তবে দু’দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy