—ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটিতে এ বার শুধুই বিজেপির মন্ত্রীরা। শরিক দলের কোনও মন্ত্রীর সেখানে স্থান হল না।
মন্ত্রিসভার রদবদল ও সম্প্রসারণের পরে প্রধানমন্ত্রী এ বার মন্ত্রিসভার বিভিন্ন কমিটিও ঢেলে সাজালেন। রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটিতে স্মৃতি ইরানি, গিরিরাজ সিংহ, মনসুখ মাণ্ডবিয়া, ভূপেন্দ্র যাদব, সর্বানন্দ সোনোয়ালের মতো মুখ নিয়ে আসা হল। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে নীতি নির্ধারণ নিয়েই মূলত মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটিতে আলোচনা হয়। মন্ত্রিসভার রদবদলে স্মৃতির হাতে নারী ও শিশুকল্যাণ থাকলেও বস্ত্র মন্ত্রক বাদ গিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটিকে জায়গা পাওয়ায়, অমেঠীতে রাহুল গাঁধীকে হারিয়ে আসা স্মৃতির রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। একই ভাবে এত দিন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসা, অমিত শাহর আস্থাভাজন বলে পরিচিত ভূপেন্দ্র যাদবকেও রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটিতে নিয়ে আসা হয়েছে।
দ্বিতীয় মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটিতে শরিক দলের মধ্যে এলজেপি-র রামবিলাস পাসোয়ান, অকালি দলের হরসিমরত কউর বাদল, শিবসেনার অরবিন্দ সাবন্ত ছিলেন। পাসোয়ান প্রয়াত। অকালি, শিবসেনা এনডিএ ছেড়েছে। এ বার জেডিইউ, আপনা দলের মতো শরিকরা মন্ত্রিসভায় এলেও তাদের কাউকে রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটিতে রাখা হয়নি। একই ছবি অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটিতেও। এত দিন সেখানে হরসিমরত ছিলেন। কমিটি নতুন করে হলেও শরিক দলের কোনও প্রতিনিধির জায়গা হয়নি।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, এত দিন অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটিতে তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ছিলেন। রদবদলের পরে ধর্মেন্দ্র শিক্ষামন্ত্রী হলেও তিনি কমিটিতে থেকে গিয়েছেন। নতুন তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী জায়গা পাননি। মোদী সরকার গ্রামীণ অর্থনীতিতে জোর দিলেও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজও কমিটিতে নেই। এমনকি সরকারের যে মন্ত্রকে সবথেকে বেশি অর্থ খরচ হয়, সেই রেলমন্ত্রীও অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটিতে জায়গা পাননি। বিজেপি নেতারা বলছেন, দেখে মনে হচ্ছে, এখানে মন্ত্রক দেখে নয়, নেতাদের গুরুত্ব দেখে কাকে কোন কমিটিতে রাখা হবে, তা ঠিক হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, নির্মলা সীতারামন প্রায় সব কমিটিতেই রয়েছেন। মোদী ও শাহকে নিয়ে গঠিত মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটিতে নতুন করে কেউ জায়গা পাননি। প্রধানমন্ত্রী, শাহ, রাজনাথ, নির্মলা ও এস জয়শঙ্করকে নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটিও অপরিবর্তিত। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসে বিমানমন্ত্রীর পদ পাওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে মন্ত্রিসভার লগ্নি ও আর্থিক বৃদ্ধি বিষয়ক কমিটিতে আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কর্মসংস্থান ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক কমিটিতে নতুন মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও ভূপেন্দ্র যাদব জায়গা পেয়েছেন। কাল, বুধবার এক বছর পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সশরীরে বৈঠক করতে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy