প্রতীকী ছবি।
অসংগঠিত ক্ষেত্রের তো কথাই নেই। দেশ জোড়া লকডাউনের দু’মাসে সংগঠিত ক্ষেত্রেও কত লোক কাজ খুইয়ে থাকতে পারেন, তার কিছুটা আভাস মিলল শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে।
ওই তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) নতুন যোগ দেওয়া সদস্যের সংখ্যা ১.৮১ লক্ষ। সেখানে ওই খাতা বন্ধ করেছেন ৫.১১ লক্ষ জন। আগে ছেড়ে গিয়ে ফের এই সুবিধায় ফিরেছেন ২.৬৮ লক্ষ। মে মাসে এই তিন সংখ্যা যথাক্রমে ৩.১১ লক্ষ, ৬.০৯ লক্ষ এবং ৩.৩৭ লক্ষ। অর্থাৎ, দুই মাসেই নতুন সদস্যের তুলনায় পিএফের খাতা বন্ধ করার সংখ্যা অনেক বেশি। যা নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হওয়ার বদলে অনেক বেশি ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিতবাহী।
এই বিষয়টি আরও বেশি চোখে পড়ছে এখন জুন ও জুলাইয়ের পরিসংখ্যান সামনে আসায়। লকডাউন কিছুটা শিথিল হতে শুরু করার এই দুই মাসে ছবি সামান্য বদলেছে। জুনে যেখানে ৫.৩৮ লক্ষ জন নতুন খাতা খুলেছেন, সেখানে তার পাট গুটিয়েছেন ৫.৭ লক্ষ। জুলাইয়ে এই দুই সংখ্যা যথাক্রমে ৬.১ লক্ষ এবং ৩.১২ লক্ষ। অর্থাৎ, জুলাইয়েই শেষ পর্যন্ত নিট বৃদ্ধির মুখ দেখেছে ইপিএফের সদস্য সংখ্যা।
কিছুটা একই ছবি কর্মী বিমার (ইএসআই) পরিসংখ্যানেও। এপ্রিল ও মে-তে নতুন করে ওই বিমার প্রিমিয়াম গুনতে শুরু করেছিলেন মোটে ২.৬ লক্ষ ও ৪.৮১ লক্ষ জন। সেখানে জুন ও জুলাইয়ে তা যথাক্রমে ৮.১৩ লক্ষ এবং ৭.৪১ লক্ষ। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতি এখনও ধুঁকছে। তা সত্ত্বেও জুন ও জুলাইয়ের পরিসংখ্যানের পাশে ফেললেই বোঝা যাচ্ছে লকডাউনে বেকারত্ব কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। সংগঠিত ক্ষেত্রই যদি এত খানি ধাক্কা খেয়ে থাকে, তবে অসংগঠিত ক্ষেত্রের চোট কত গভীর, তা ভেবে শঙ্কিত তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy