বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের একটি ছবি। —ফাইল চিত্র।
বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের টেলিভিশন সঞ্চালকদের ‘বয়কট’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। বৃহস্পতিবার বয়কটের তালিকায় থাকা ১৪ জনের নামও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। এ বার এই নিয়ে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’কে খোঁচা দিল শাসক বিজেপি। মনে করিয়ে দিল ইন্দিরা গান্ধীর আমলের জরুরি অবস্থার কথাও।
সংবাদমাধ্যমের ‘কণ্ঠরোধ’ করার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সরব হতে শুরু করেন বিজেপি নেতারা। এই নিয়ে নিজেদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে মন্তব্য করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা, দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের শাসকদলের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি দিয়েও এই বয়কটের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানানো হয়। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বিষয়টিকে ‘জরুরি অবস্থার দ্বিতীয় সংস্করণ’ বলে কটাক্ষ করেন। মন্ত্রী বলেন, “ওরা (বিরোধী জোট) গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।” এই প্রসঙ্গেই বিরোধী শাসিত পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ুর দৃষ্টান্তও তুলে ধরেন তিনি।
বুধবার ‘ইন্ডিয়া’র প্রথম সমন্বয় কমিটির বৈঠকে বয়কটের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় বিরোধী জোটের মিডিয়া সংক্রান্ত সাব কমিটি। এই কমিটি ওই টিভি চ্যানেল এবং টিভি সঞ্চালকদের নাম চূড়ান্ত করার পরে, সেগুলি প্রকাশ্যে আনা হয় বৃহস্পতিবার দুপুরে। জানানো হয়, ওই টিভি সঞ্চালকদের কোনও অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি পাঠাবে না জোটের অংশীদার কোনও দল। যদিও বিরোধী জোট সূত্রে খবর, অন্তত দু’টি দল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি জানায়। সাংবাদিকদের বেশ কিছু সংগঠনও বিষয়টিকে ‘গণতন্ত্রের উপর আঘাত’ বলে বর্ণনা করেছে। কংগ্রেস অবশ্য বয়কটের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, ওই টিভি সঞ্চালকদের তারা ঘৃণা করে না, কিন্তু দেশকে তার চেয়েও বেশি ভালবাসে। দলের মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, “প্রতি সন্ধ্যায় ওই সঞ্চালকেরা ঘৃণার দোকান খুলে বসেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy