জরুরি অবতরণ বিমানের ফাইল চিত্র
বুকে তীব্র ব্যথা আচমকাই। এতটাই যে, প্রায় ৩৭ হাজার ফুট উচ্চতায় ককপিটে বসে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চেতনা হারালেন বিমানের প্রধান পাইলট। পাশে বসা সহকারী পাইলট বিপদ বুঝে যোগাযোগ করলেন কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে। তার পরেই পাশে অচেতন প্রধান পাইলট এবং ১২৯ জন যাত্রী নিয়ে বিমানের মুখ ঘুরিয়ে নাগপুরে গিয়ে নামলেন তিনি।
শুক্রবার সকালের ঘটনা। বাংলাদেশের উড়ান সংস্থা ‘বিমান’-এর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মাস্কাট থেকে যাচ্ছিল ঢাকা। নাগপুর এটিসি-র এলাকা ছেড়ে সে কলকাতা এটিসি-র আকাশে যখন ঢোকে, তখন সকাল ১০টা ৫০ মিনিট। তার ১০ মিনিটের মাথায় বিজি-০২২ উড়ানের ককপিট থেকে ভেসে আসে উদ্বিগ্ন সহকারী পাইলটের কণ্ঠ: ‘কমান্ডার মেট অ্যান হার্ট অ্যাটাক, আই সাপোজ়।’
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সহকারী পাইলট যখন যোগাযোগ করে জানান যে, অচেতন প্রধান পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিনকে নিয়ে অবিলম্বে কোনও নিকটবর্তী বিমানবন্দরে নামতে হবে, উড়ানটি তখন জবলপুরের আকাশে। সেখান থেকে কলকাতায় পৌঁছতে লাগবে অন্তত ৫০ মিনিট। অগত্যা কাছাকাছি নাগপুরে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বেলা সাড়ে ১১টায় নাগপুরে নেমেই পাইলটকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতের খবর, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রীদের নিয়ে বিমানটি রাত পর্যন্ত আটকে থাকে নাগপুরেই। কারণ, এক জন পাইলট সেই বিমান নিয়ে উড়তে পারবেন না। তাঁকে হয় দ্বিতীয় পাইলটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে, নয়তো কোনও খালি বিমান নিয়ে গিয়ে যাত্রীদের তুলে আনতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy