তামিলনাড়ুর হাতি পুনর্বাসন কেন্দ্রে অসমের প্রেরণা। নিজস্ব চিত্র
ফিরতে পারেনি বাকিরা। কিন্তু প্রেরণাকে শেষ পর্যন্ত ঘরে পাঠাচ্ছে তামিলনাড়ু। এক জনকে হত্যা করে ও আরও কয়েক জনকে আক্রমণ করে ত্রাসের সঞ্চার করেছে ১২ বছর বয়সি এই হস্তিনী।
সুব্রমণ্যস্বামী থিরুকোভিল মন্দিরের শোভা বাড়াতে ২০১৪ সালে প্রেরণাকে অসম থেকে তিন বছরের লিজে তামিলনাড়ু পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর নতুন নাম হয়, দেইভানাই। তামিলনাড়ুর মন্দিরের পরিবেশে মোটেই মানিয়ে নিতে পারেনি প্রেরণা। আগের দুই মাহুতকেই জখম করেছিল সে। এ বছর ২৪ মে, মাহুত এস কালিদাসানকে আছড়ে, পিষে হত্যাই করে ফেলে সে। এর পরেই ‘খুনে হাতি’টিকে ত্রিচির হাতি উদ্ধার ও পুনর্বাসনকেন্দ্রে আনা হয়। ১৭ জুলাই স্নান করানোর সময় উদ্ধারকেন্দ্রের সহকারী মাহুতকে শুঁড়ে জড়িয়ে ছুড়ে ফেলে গুরুতর ভাবে জখম করেছে প্রেরণা।
পশু অধিকারকর্মী অ্যান্টনি ক্লেমেন্ট রুবিনের আরটিআই আবেদনের ভিত্তিতে তামিলনাড়ু সরকার জানায়, ২০১৭ সালেই লিজের মেয়াদ পার হয়েছে প্রেরণার। তাই মাদুরাইয়ের সেই মন্দির থেকে ইতিমধ্যেই হস্তিনীকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। প্রেরণা ছাড়াও এখন সেখানে আছে অসমের আরও এক হস্তিনী, জয়ন্তী।
তামিলনাড়ু সরকার প্রথমে প্রেরণাকে অসমে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। অসমের অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপাল এম কে যাদব জানান, তামিলনাড়ু সরকার নথিপত্র পাঠালেই হাতি আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। রুবিনেরই অপর আরটিআইয়ের জবাবে জানানো হয় অসমের তিনসুকিয়ার আরও এক হস্তিনী ৩৩ বছরের জয়মালাও জেয়ালয়াথা নামে তামিলনাড়ুর শ্রীভিল্লিপুথুর মন্দিরে ২০০৮ সালে সাময়িক লিজে আনা হয়েছিল। ফেরানো হয়নি তাকেও। এখন সে নাতচিয়ার মন্দিরে।
হাতি বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন থেকেই অসম থেকে ভারতের বিভিন্ন মন্দিরে হাতি পাঠানোর প্রতিবাদে সরব। বলা হচ্ছে, মালিকানা বদল করে, মাইক্রোচিপ বদলে ও প্রাণী সুরক্ষা সংক্রান্ত আইনের ফাঁক গলে হাতি পাঠানো চলছেই। তামিলনাড়ু বন্দি হস্তি কমিটির সদস্য দীপক নাম্বিয়ার জানান, রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরে এখন অন্তত ২২টি অসমের হাতি আটকে রয়েছে। হস্তিপ্রেমী তথা অসমের সাম্মানিক বনপাল কৌশিক বরুয়ার মতে, প্রথম তফসিলভুক্ত হওয়ার পরে লিজে ভিন্ রাজ্যে পাঠানো হাতিদের লিজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে কি না পরীক্ষা করে অবিলম্বে ফেরানোর ব্যবস্থা করা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy