Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Assembly Elections 2024

জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট এক দশক পরে! শুক্রে ঘোষণা কমিশনের, সঙ্গে কি হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রেও?

জম্মু ও কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের দায়িত্বে থাকা ‘ডিলিমিটেশন কমিশন’-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা আসনসংখ্যা ৮৩ থেকে বাড়িয়ে ৯০ করা হয়েছিল গত বছর।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৪ ১০:১০
Share: Save:

২০১৪ সালের পরে ২০২৪। ঠিক এক দশক পরে বিধানসভা ভোট হতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীরে। শুক্রবার বিকেল ৩টেয় নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করতে পারেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। জল্পনা, জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি হরিয়ানাতেও ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতে পারে শুক্রে। ২০১৯-এর অক্টোবরে হরিয়ানার সঙ্গেই মহারাষ্ট্রেও বিধানসভা ভোট হয়েছিল। সে রাজ্যেও কমিশন ভোট এক মাস এগিয়ে আনবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।

এক দশকের ব্যবধানে অবশ্য পূর্ণ রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে কাশ্মীর। নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট কেন্দ্র সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করেছিল। সাবেক জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে ভাগ করা হয়েছিল। তার তিন বছর আগেই অবশ্য রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। ২০১৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে শেষ বার বিধানসভা ভোট হয়েছিল অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে। এ বার সুপ্রিম কোর্ট আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র এবং কমিশনকে।

জল্পনা ছিল, জম্মু ও কাশ্মীরের পাঁচ এবং লাদাখের একটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সঙ্গেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হবে। কিন্তু তা হয়নি। তবে লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব বলেছিলেন, ‘‘শীঘ্রই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’’ চলতি মাসেই তাঁর নেতৃত্বে কমিশনের ‘ফুল বেঞ্চ’ জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে ভোটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে। লোকসভা ভোটে জম্মু উপত্যকার জম্মু ও উধমপুরে বিজেপি জিতেছে। শ্রীনগর এবং বারামুলায় কংগ্রেসের সহযোগী ন্যাশনাল কনফারেন্স। অনন্তনাগ-রাজৌরি কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী।

৩৭০ বাতিলের পরে জম্মু ও কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের দায়িত্বে থাকা ‘ডিলিমিটেশন কমিশন’-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা আসনসংখ্যা ৮৩ থেকে বাড়িয়ে ৯০ করা হয়েছিল গত বছর। সাতটি আসনের মধ্যে ছ’টি বেড়েছে জম্মুতে (৩৭ থেকে ৪৩) এবং একটি কাশ্মীরে (৪৬ থেকে ৪৭)। কমিশন জানিয়েছে, ২০১১ সালের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও অভিযোগ উঠেছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হিন্দুপ্রধান জম্মুতে মুসলিম প্রধান কাশ্মীর উপত্যকার তুলনায় বেশি আসন বাড়ানো হয়েছে।

২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে ত্রিশঙ্কু হয়েছিল ৯০ বিধানসভা আসনের হরিয়ানা। এর পরে আইএনএলডি-ছুট দুষ্মন্ত চৌটালার দল জেজেপির ১০ বিধায়কের সমর্থনে সরকার গড়েছিল ৪০টিতে জেতা বিজেপি। কিন্তু চলতি বছরে লোকসভা ভোটের আগে সে জোট ভেঙে যায়। এ বারের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস এবং বিজেপি দু’দলই পাঁচটি করে আসনে জিতেছে। অন্য দিকে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য (জনসংখ্যার নিরিখে) মহারাষ্ট্রে ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে এ বার উদ্ধব ঠাকরেপন্থী শিবসেনা, শরদ পওয়াপন্থী এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’ জিতেছে ৩০টিতে। শাসক ‘মহাদ্যুতি’ জোটের ঝুলিতে মাত্র ১৭। বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং অজিতপন্থী এনসিপির পাশাপাশি এনডিএ-তে ছিলেন রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষের নেতা মহাদেব জানকর। পাশাপাশি রাজ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনস)-ও সমর্থন জানিয়েছিল এনডিএ-কে। তবুও বিপর্যয় এড়ানো যায়নি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE