রিমোট ভোটিংয়ের মহড়া শুরুর ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের। ফাইল চিত্র।
ভোট দেওয়ার জন্য আর বুথে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না! বরং দেশের যে কোনও প্রান্তে বসেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচন (২০২৪) থেকে এমন ‘রিমোট ভোটিং’-এর বন্দোবস্ত করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।
সেই দূরবর্তী ভোটগ্রহণ যন্ত্রের মহড়া দেখার জন্য এ বার কমিশনের তরফে আগামী ১৬ জানুয়ারি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হল। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, ওই মহড়ায় রিমোট ভোটিং যন্ত্রের (যার পোশাকি নাম রিমোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা আরভিএম) যে প্রতিরূপ ব্যবহার করা হবে, তাতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে না। একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যবস্থা হিসাবে সেটি কাজ করবে।
নির্বাচন কমিশনের দাবি, পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া, কাজের সূত্রে ভিন্ রাজ্যে যাওয়া অনেকেই দূরত্বের কারণে ভোটের সময়ে নিজের জায়গায় গিয়ে ভোট দিতে পারেন না। তাঁদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতেই রিমোট ভোটিং বা ই-পোস্টাল ব্যালট চালুর এই ভাবনা। এ ক্ষেত্রে বর্তমানে সরকারি কর্মীদের জন্য জারি হওয়া পোস্টাল ব্যালটের মতো বাইরে থাকা ব্যক্তিদের নামে ই-ব্যালট ইস্যু করা হবে। নিজেদের কাজের জায়গায় একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে তার ভিত্তিতে নিজের কেন্দ্রের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন তাঁরা।
প্রতি বছর নির্বাচন কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস ২৫ জানুয়ারিকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসাবে পালন করা হয়। সেই উপলক্ষেই গত বছরের ওই দিনে ‘রিমোট ভোটিং’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। কিন্তু নভেম্বর মাসে আইন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে তৃণমূল-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল। তাদের দাবি, যেখানে কারচুপির সম্ভাবনা রুখতে ইভিএম তুলে দিয়ে ব্যালট পেপারে ফিরে যাওয়ার দাবি তোলা হচ্ছে, সেখানে রিমোট ভোটিং সমর্থনের প্রশ্নই নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy