ফাইল চিত্র
গৃহস্থের চিন্তা বাড়িয়ে ফের বাড়তে চলেছে ভোজ্য তেলের দাম।
বাজারে হেঁশেলে অবশ্য প্রয়োজনীয় রান্নার তেলের দাম বেশির দিকে। তার উপরে ইন্দোনেশিয়ার সরকার সে দেশ থেকে পাম তেল রফতানি বন্ধ করতে চলেছে। ইন্দোনেশিয়া থেকেই এ দেশে সবথেকে বেশি পরিমাণে পাম তেল রফতানি হয়। এ দিকে ২৮ এপ্রিল থেকে ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রফতানি বন্ধ করে দিলে তার দাম কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, তা নিয়ে মোদী সরকারের অন্দরমহলে চিন্তা ছড়িয়েছে। দেশের বাজারে সবথেকে বেশি চাহিদা পাম তেলের। পাম তেলের দাম বাড়লে সর্ষে থেকে বাদাম তেল, সব কিছুরই দাম বেড়ে যায়। এমনিতেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের ফলে সূর্যমুখী তেলের আমদানি কমবে বলে আশঙ্কা। ফলে সূর্যমুখী তেলের দামও বাড়বে।
ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোদী সরকার ও রাজ্যের সরকারগুলি বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোজ্য তেল ও তৈলবীজের মজুতদারির উপরে কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি হয়েছে। যাতে বেআইনি মজুতদারি ও কালোবাজারি বন্ধ করা যায়। কিন্তু সরকারি কর্তারা মানছেন, পেট্রল-ডিজ়েল তৈরির অশোধিত তেলের মতো ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রেও ভারত আমদানি নির্ভর।
বিশ্বের বৃহত্তম ভোজ্য তেল আমদানিকারী দেশ ভারত। প্রয়োজনের ৬০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ভারত প্রতি বছর ১ কোটি ৩০ লক্ষ টন ভোজ্য তেল বিদেশ থেকে আমদানি করে। তার মধ্যে পাম তেলের পরিমাণ প্রায় ৮৩ লক্ষ টন। এর ৪৫ শতাংশই আসে ইন্দোনোশিয়া থেকে।
এ দিকে ইন্দোনেশিয়ার নিজের বাজারেই এখন ভোজ্য তেলের আকাল। তার দাম সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই ২৮ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পাম তেল রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার।
ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল চতুর্বেদীর বক্তব্য, “ইন্দোনোশিয়ার সিদ্ধান্তের ফলে সে দেশে হয়তো তেলের দাম কমবে। কিন্তু ভারতে রান্নার তেলের দাম আকাশ ছোঁবে।”
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম তেল আসা বন্ধ হয়ে গেলে মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ডের মতো অন্যান্য দেশ থেকে আরও বেশি পরিমাণ পাম তেল আমদানি করেও ঘাটতি মেটানো কঠিন। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, গত ফেব্রুয়ারি থেকেই আমদানি করা অশোধিত পাম তেলের দাম বাড়ছে। ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ দাম বেড়েছে।
আমদানি করা সূর্যমুখী ও অন্যান্য ভোজ্য তেলের দামও গত এক মাসে ৪১ শতাংশ বেড়েছে।
সরকারি কর্তাদের একমাত্র আশা, পাম তেল রফতানি বন্ধ করলে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতিতেও ধাক্কা লাগবে। ইন্দোনেশিয়ায় এত পাম তেল মজুত করারও জায়গা নেই। ফলে ১৫ দিনের মধ্যেই রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হতে পারে। কূটনৈতিক স্তরেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার কথা ভাবা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রয়োজনে ভোজ্য তেলে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করতে হতে পারে সরকারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy