অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ছবি: পিটিআই।
কোনও ব্যক্তিবিশেষ নয়, আবগারি দুর্নীতিতে যুক্ত অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আস্ত দলটিই! ইডি সূত্রে খবর, আবগারি দুর্নীতির তদন্তে আম আদমি পার্টি (আপ)-র নাম ঢোকানো যায় কি না, তা নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে ইডির কৌঁসুলি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তাঁরা আপের নাম ঢোকানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন।
আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার জামিন-আর্জির শুনানিতে বুধবার ইডির উদ্দেশে কিছু প্রশ্ন রেখেছিল শীর্ষ আদালত। বিতর্কিত আবগারি নীতি থেকে দিল্লির আপ সরকার সুবিধা পেয়েছে, ইডির এমন দাবির পরেও রাজনৈতিক দলটি কেন এই মামলায় অভিযুক্ত নয়, সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি এসভি ভাট্টির বেঞ্চ। দুই বিচারপতির বেঞ্চ ইডির উদ্দেশে বলে, “অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর এই মামলায় আপনারা জানিয়েছিলেন যে একটি রাজনৈতিক দল এর সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু সেই দল তো এই মামলায় অভিযুক্ত নয়। এ ক্ষেত্রে আপনাদের উত্তর কী?” ইডির হয়ে আদালতে সওয়াল করেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিসৌদিয়া ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। বুধবার সকাল থেকে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। ২০২১ সালে দিল্লির আবগারি দুর্নীতিতে বদল আনে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের নেতৃত্বাধীন আপ সরকার। পরে যদিও সেই নীতি বাতিল করা হয়। আর এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দাবি, ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতিতে দিল্লি সরকার কয়েক জন মদ ব্যবসায়ীকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল। তার বদলে বিপুল অর্থের হাতবদল হয়েছিল। যদিও গোড়া থেকেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে আপ। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিতর্কিত আবগারি নীতিটি অবশ্য বাতিলও করা হয়। কিন্তু সেই বাতিল নীতিতেই বহু টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ করেন দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল ভিকে সাক্সেনা। তিনি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy