শরদ পওয়ার। ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের আর এক মাসও বাকি নেই। আর আজই মহারাষ্ট্রের রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের ২৫ হাজার কোটি টাকা আর্থিক নয়ছয়ের তদন্তে ইডি-র করা মামলায় উঠে এল শরদ পওয়ারের নাম। এনসিপি প্রধানের ভাইপো অজিত পওয়ার-সহ ৭০ জনের নাম রয়েছে এই মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে। তাঁরা সমবায় ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর পদে ছিলেন। ওই মামলায় ইডি-র নোটে শরদ পওয়ারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পওয়ার বলেছেন, ‘‘আমি তো এর ডিরেক্টর পদে ছিলাম না। আমাদের সভায় যে সাড়া মিলেছে, এটা তার প্রতিক্রিয়া!’’
গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পওয়ারের বাক্যুদ্ধ হয়েছে। মোদী মহারাষ্ট্রে গিয়ে পওয়ারকে কটাক্ষ করেন। পওয়ার জবাবে মোদীকে পাল্টা নিশানা করেন। ইডি মামলা করায় প্রশ্ন উঠেছে, এটা কি এনসিপি-কে প্যাঁচে ফেলার চেষ্টা?
ইডি-র অবশ্য দাবি, বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে মহারাষ্ট্র পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা প্রথম মামলা করেছে। তার ভিত্তিতেই ইডি আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে মামলা করে তদন্ত শুরু করল। ইডি-র অভিযোগ, ওই সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে চিনিকলগুলিকে কোটি কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছিল। যারা ঋণ মঞ্জুর করেছিলেন, তাদের আবার চিনিকলগুলির মালিকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। চিনিকলগুলি রুগ্ণ হয়ে পড়ায় সেগুলি অনেক কম দামে বেচে দেওয়া হয়। তাতে যারা কিনেছেন, তাদেরই লাভ হয়। তাদের সঙ্গে আবার ওই সমবায় ব্যাঙ্কের ডিরেক্টরদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আনন্দরাও আদসুল, জয়ন্ত পাটিল, শিবাজি রাও নালভাডের মতো মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতাদের আত্মীয়রা এই চিনিকলগুলি কিনে নিয়েছেন। ইডি-র অভিযোগ, ২০০৭ থেকে ২০১১-র মধ্যে মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্কের প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়।
মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে বিজেপি-শিবসেনার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে এনসিপি। এর আগে মনমোহন জমানার বিমানমন্ত্রী, এনসিপি নেতা প্রফুল্ল পটেলকে এয়ার ইন্ডিয়া দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy