সুনীল অরোড়া।— ফাইল চিত্র
প্রধানমন্ত্রীর ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি রূপায়ণে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত বলে দাবি করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোড়া। তাঁর দাবি, সংশ্লিষ্ট আইন পরিবর্তন হলেই নতুন এই ব্যবস্থা রূপায়ণে প্রস্তুত কমিশন।
লোকসভা ও সব বিধানসভার ভোট একসঙ্গে করানোর বিষয়ে কেন্দ্র যে আইন কমিশন গড়েছিল, তাদের রিপোর্ট অবশ্য বলছে, শুধু জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধনই যথেষ্ট নয়, এর জন্য সংবিধানে অন্তত পাঁচটি পরিবর্তন প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হল, কার্যত গোটা বিরোধী শিবিরই যখন ‘এক দেশ এক ভোট’-এর বিপক্ষে, তখন এর জন্য সংবিধান সংশোধন কি আদৌ করে উঠতে পারবে সরকার?
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ ও খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দীর্ঘদিন ধরেই ‘এক দেশ এক ভোট’-এর পক্ষে সরব রয়েছেন। গত মাসে সংবিধান দিবসেও তিনি একই সওয়াল করেন। তাঁর কথার সূত্রেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোড়া গত কাল জানান, “কমিশন প্রস্তুত। আইনে পরিবর্তন করা হলেই কমিশন এক দেশ এক ভোট নীতি রূপায়ণ করতে সক্ষম হবে।”
একসঙ্গে সব ভোট করানোর পক্ষে মোদী শিবিরের যুক্তি, এতে খরচ কমবে। আলাদা আলাদা সময়ে নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ না-হওয়ায়, থমকে যাবে না উন্নয়নের কাজ। এস ওয়াই কুরেশির মতো প্রাক্তন নির্বাচনী কমিশনারও নীতিগত ভাবে এক দেশ এক ভোটের পক্ষে। কিন্তু তাঁর প্রশ্ন, অতীতের বাজপেয়ী সরকারের মতো কেন্দ্রের সরকার যদি ১৩ দিনে পড়ে যায়, তখন এতগুলি বিধানসভার কী হবে? একই প্রশ্ন বিরোধীদেরও। কোনও রাজ্যে মেয়াদ পূর্তির আগে সরকার গরিষ্ঠতা হারালে কেন্দ্রীয় সরকারের কী হবে এই প্রশ্ন তাঁদেরও। কেন্দ্রের আইন কমিশনও তাদের রিপোর্টে এ নিয়ে স্পষ্ট কোনও দিশা দেখাতে পারেনি।
নির্বাচন কমিশনের অন্দরেও বিষয়টি নিয়ে সংশয় যথেষ্ট। কারণ, দুই ধরনের ভোট একসঙ্গে করাতে যত ভিভিপ্যাট ও ইভিএম প্রয়োজন পড়বে, কমিশনের কাছে তা নেই। অভাব অন্য পরিকাঠামোরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy